বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ফ্রেডি মার্কারি। এই রক সঙ্গীতশিল্পীর আসল নাম অবশ্য ফারুক বালসারা। জন্মগতভাবে জরাথ্রুস্টিয়ান ফ্রেডি কৈশোরের কিছুদিন এই এলাকাতেই বাস করতেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে পশ্চিম লন্ডনের ফেল্টহামে চলে যান তিনি। ২২ গ্ল্যাডস্টোন অ্যাভিনিউয়ের কাছে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। ২০১৬ সালে একটি নীল ফলকের মাধ্যমে ওই জায়গাটিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপরেই হ্যানওর্থ রোডের একাংশের নাম বদলের ভাবনা শুরু। প্রসঙ্গত, এই রাস্তাতেই রয়েছে ওয়ার্ল্ড জরাথ্রুস্টিয়ান অর্গানাইজেশনের সদর দপ্তর।
গত সোমবার এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই নামকরণ অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫০ জন অতিথি। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন লর্ড করণ বিলিমোরিয়া, এমপি সীমা মালহোত্রা, ব্রিটিশ লেখক তথা মানবাধিকার কর্মী জেরবানো গিফোর্ড, লেখক শাহিন বেখরাদনিয়া, শিল্পী জেসিকা মিস্ত্রী এবং ব্রিটিশ-জরাথ্রুস্টিয়ানদের বিশেষভাবে অগ্রগণ্য ম্যালকম ডেবো ও শাপুর ক্যাপ্টেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদজ্ঞাপন পর্বের সূচনা করেন ওয়ার্ল্ড জরাথ্রুস্টিয়ান অর্গানাইজেশনের সম্পাদক দারাউস মোতিভালা। উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনের সবচেয়ে কমবয়সি জরাথ্রুস্টিয়ান পুরোহিত এরভাদ জিমি মাডোন। ভাইদের সঙ্গে প্রার্থনা-পাঠের পর প্রয়াত দুই পুরোহিতের জন্য এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের বরোর বৈচিত্র্যের কথা তুলে ধরেন হাউনস্লোর মেয়র টনি লোকি। তাঁর বক্তব্যের মাঝেই বারকয়েক বাবাকে ডেকে ওঠে দু’বছর বয়সি মিকা। বাবা শেনি, মা আনাহিতা এবং দাদা রেমির সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে এসেছিল সে। খুদের গলায় বাবার ডাক শুনে হাসি দেখা যায় সমবেত অতিথিদের মুখে। ফ্রেডি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন অফিসিয়াল ইন্টারন্যাশনাল কুইন ফ্যান ক্লাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যাকি স্মিথ। ব্রিটেনে জরাথ্রুস্টিয়ানদের অবদানের কথা বলেন লর্ড বিলিমোরিয়া। ফ্রেডির জনপ্রিয় কয়েকটি গানের উল্লেখও করেন তিনি। জুবিন মেহতা সহ উল্লেখযোগ্য জরাথ্রুস্টিয়ানদের নিয়ে একটি বিশেষ উপস্থাপনা পেশ করেন ওয়ার্ল্ড জরাথ্রুস্টিয়ান অর্গানাইজেশনের সভাপতি স্যামি ভিওয়ান্ডিওয়ালা।