বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও করোনা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার চারজনের মৃত্যুর পর ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২। মোট ৪৭ জন এই সংক্রমণের শিকার। ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সইদ নামাকির মতে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও চীন থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মারফত দেশে করোনার হানা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে চীন ও ইরাকের মধ্যে বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপৎকালীন ভিত্তিতে বন্ধ করা হয়েছে।
ইরানের মতো আফগানিস্তানেও করোনার আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরোজউদ্দিন ফিরোজ জানিয়েছেন, সোমবার কাবুলে এক ব্যক্তির রক্তে প্রথম ভাইরাস সংক্রমণের খোঁজ মেলে। ইউরোপ সহ পড়শি রাষ্ট্র ইরানে ইতিমধ্যে করোনা ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সেসমস্ত দেশে যাওয়া থেকে সকলকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের মতোই বাহারিনে প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কুয়েতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন। ওই তিনজনকেই স্বাস্থ্যদপ্তরের পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাহারিনে আক্রান্ত ব্যক্তি ইরান থেকে আসেন। তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে।
চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। নতুন করে ১৬১ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ার পর দেশজুড়ে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৬৩। এর মধ্যে ডাইগু শহর সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর। সেখানকার মোট ২৮ হাজার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গ্যাং-লিপ বাসিন্দাদের দু’সপ্তাহের জন্য বাইরে বেরোতে বারণ করেছেন। কোরিয়ান এয়ারের ডাইগুগামী সমস্ত উড়ান মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত কোম্পানি স্যামসাং তাদের এক কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুমি শহরে তাদের স্মার্টফোন তৈরির কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে চীনে ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯২। আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও রবিবার প্রায় ১ হাজার ৮৪৬ জন আক্রান্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে চীন ও হু (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন)-এর যৌথ বিশেষজ্ঞ দল মহামারী বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ও তা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে উবেইয়ের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে যান। রাষ্ট্রপতি জি জিনপিং সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে রবিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানে তিনি করোনার জটিলতা সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে দেন। পাশাপাশি আরও সুপরিকল্পিতভাবে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেন। করোনা প্রতিরোধ তাঁদের কাছে এক ‘অগ্নিপরীক্ষা’ বলে মন্তব্য করেছেন জিনপিং।