পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইয়োকোহামায় আটকে থাকা ব্রিটিশ জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসে যাত্রী ও কর্মী মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৭০০ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় রয়েছেন ১৩৮ জন। জাহাজের সমস্ত যাত্রী-কর্মীদের মধ্যে ২১৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এদিন ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, আটকে থাকা ভারতীয়দের দ্রুত স্থলভাগে ফিরিয়ে আনতে সমস্ত চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে, আক্রান্ত তিনজন ভারতীয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। নতুন করে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। পাশাপাশি, পৃথক করে রাখার সময়সীমা শেষ হলেই ভারতীয়দের স্থলভাগে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এব্যাপারে জাপান সরকার ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন দূতাবাসের আধিকারিকরা। শনিবার, জাহাজে আটকে থাকা ভারতীয়দের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দূতাবাসের তরফে সকলকে ইমেল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, জাপান সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছেন আধিকারিকরা।
এশিয়ার বাইরে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ফ্রান্সে ৮০ বছর বয়সি ওই আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চীনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। ফ্রান্সে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এপ্রসঙ্গে ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাগনেস বুয়ান বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি ওই ব্যক্তি এদেশে এসেছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৫ জানুয়ারি প্যারিসের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। শুক্রবার চীনের ওই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শুক্রবার আরও ১৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এবং সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১ হাজার ৬৩১ জন। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে, হুবেই প্রদেশের মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। ১৪৩ জন মৃতের মধ্যে এই এই প্রদেশেরই ১৩৯ জন রয়েছে। পাশাপাশি, গোটা দেশে নতুন করে ২ হাজার ৬৪১জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে, হুবেইতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪২০ জন। অপরদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ে তথ্য যোগাড় ও বিশ্লেষণ, ভাইরাস খুঁজে বের করা, প্রতিরোধ ও চিকিত্সার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির জন্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মতো প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। উহানের একাধিক হাসপাতালে আক্রান্তদের পরিষেবা দিতে ইতিমধ্যেই রোবট ব্যবহার শুরু হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এখনও কোনও ওষুধ তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রাচীন চিকিত্সা পদ্ধতির উপরও ভরসা রাখছে চীন প্রশাসন। হুবেই প্রদেশে মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি রোগীকে এই প্রক্রিয়ায় চিকিত্সা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রোগীদের উপর পশ্চিমী চিকিত্সা পদ্ধতির পাশাপাশি আমরা প্রাচীন পদ্ধতিও প্রয়োগ করছি।