নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন, ১৩ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): সন্ত্রাসে আর্থিক মদত মামলায় জঙ্গিনেতা হাফিজ সইদকে ১১ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিরোধী আদালত। যদিও এই পদক্ষেপকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারত। এই শাস্তি কতটা কার্যকর হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের মতে, দিন চারেক পরেই সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের বিরুদ্ধে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে। প্যারিসের ওই বৈঠকে দোষী সাব্যস্ত হলে পাকিস্তানের উপর কড়া শাস্তির খাড়া নেমে আসতে পারে। তাই, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হাফিজের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের ওই কর্তা আরও বলেন, পুরোটাই লোক দেখানো। তা সত্ত্বেও হাফিজের শাস্তি কার্যকর করতে পাকিস্তান কতটা সদিচ্ছা দেখায়, সেদিকে নজর রাখা হবে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থা।
তবে, ২০০৮ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় পাকিস্তানের প্রশংসা করেছে আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদে সমস্ত রকম সহায়তা বন্ধ করতে পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হাফিজকে জেলে পাঠিয়ে ইমরান খানের দেশ সেই লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই ইস্যুতে একটি ট্যুইট করেছেন আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক কার্যকরী সচিব অ্যালিস ওয়েলস। সেখানে তিনি লিখেছেন, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক স্তরে কথা দিয়েছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি, জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তোইবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণও দরকার ছিল। হাফিজকে শাস্তি দিয়ে এই দু’টি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।