কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বাসিন্দা এই নিঃসন্তান দম্পতি ২০১৫ সালে গুজরাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁরা শিশুকে দত্তক নেওয়ার জন্য স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তাতে দত্তক সন্তানকে লন্ডনে প্রতিপালনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন আরতি-কাভাল। তারপর তাঁদের সঙ্গে গোপালের দেখা হয়। দিদি ও জামাইবাবুর সঙ্গে থাকত গোপাল। গুজরাত পুলিসের দাবি, দত্তক সন্তানকে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে অন্য পরিকল্পনা ছিল ওই দম্পতির। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আরতি-কাভাল গোপালের নামে প্রায় দেড় লক্ষ পাউন্ডের একটি বিমা করান। শর্ত ছিল হয় ১০ বছর পর অথবা গোপালের মৃত্যুতে ওই টাকা পাওয়া যাবে। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাতে একটি মোটরবাইকে দু’জন দুষ্কৃতী গোপালকে অপহরণ করে। পরে একটি রাস্তায় তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। অপহরণের সময় বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হন গোপালের জামাইবাবু হরসুখ কারদানি। পরে হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনায় আতরি ও কাভালের বিরুদ্ধে ভারতে খুনের ষড়যন্ত্র, অপহরণ সহ ছ’টি অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছর জুন মাসে ভারত সরকারের অনুরোধে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে ব্রিটেনের পুলিস। এখনও মামলাটি চলছে। বিচারের জন্য দম্পতিকে প্রত্যর্পণের আর্জি জানায় ভারত সরকার। ২০১৯ সালের ২ জুলাই ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস’ কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। যাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ভারত সরকার।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী ভারতে দু’টি খুনের শাস্তি প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ব্রিটেনের আইনে তা মানবাধিকার বিরোধী। এই কারণেই প্রত্যর্পণের আর্জি মানা সম্ভব নয়। তবে কঠোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে না, এই আশ্বাস পেলে ভারত সরকার ফের প্রত্যর্পণের আর্জি জানাতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন লর্ড বিচারপতি জেমস ডিঞ্জেন্যান্স এবং বিচারপতি রবিন স্পেন্সার।