কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওই ২৪ জন রোগিণীর যৌন হেনস্তা করেছিল মণীশ। তার বিরুদ্ধে ৯০টি অপরাধের অভিযোগ ছিল। যার ভিত্তিতে দায়ের হওয়া পৃথক দু’টি মামলাতেই ওই চিকিৎসককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রোগিণীদের ক্যান্সারের ভয়কে কাজে লাগাত সে। এই ভয় দেখিয়েই জোর করে মণীশ ওই ২৪ জনের দেহ পরীক্ষা করেছিল। যা অপ্রয়োজনীয় তো বটেই, মহিলাদের কাছে কার্যত আক্রমণের শামিল ছিল। বিচার প্রক্রিয়ায় সেকথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি এই অপরাধে দোষী মণীশকে তিনবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন লন্ডনের সেন্ট্রাল ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারক অ্যান মলিনিয়ঁ। আদালত জানিয়েছেন, অন্তত ১৫ বছর তাকে জেলে কাটাতে হবে। তার আগে প্যারোলের কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না। ১৫ বছর পর তিনি জামিন পাবেন কি না, তা বিচার করবে প্যারোল বোর্ড।
মামলার রায়ে মণীশের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আপনি একজন প্রতারক। নিজের ক্ষমতা এবং মর্যাদার অপব্যবহার করেছেন। এটি বিশ্বাসভঙ্গের একটি ভয়াবহ উদাহরণ। যার ফলে অপরিসীম ক্ষতি হয়েছে।’ সাজা ঘোষণার পর ব্রিটেনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের পল গোদার্ড জানিয়েছেন, মণীশ শাহ একজন বিশ্বাসভাজন পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু উনি সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে রোগিণীর হেনস্তা করেছেন। শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার নামে নিজের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টিকে আড়াল করতে ভুয়ো মেডিক্যাল নোটও তৈরি করেছিলেন। যা একেবারেই অনুচিত।