বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুক্রবার চীনের স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছে, নতুন করে আরও ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই রোগবিধ্বস্ত হুবেই প্রদেশের মানুষ। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৩৬। এছাড়া আরও ৩ হাজার ১৪৩ জন করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সেদেশে বসবাসকারী ১৯ বিদেশিও রয়েছেন। তবে ১ হাজার ৫৪০ জন আক্রান্ত সুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের বৃহস্পতিবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এদিকে করোনা আতঙ্কে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি যাত্রীবাহী দু’টি জাহাজকে গত ১৪ দিন ধরে বন্দরে আটকে রাখা হয়েছে। হংকং এবং জাপানের মধ্যে ওই দুই জাহাজকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। লি’র মৃত্যুর পর আতঙ্ক আরও বেড়েছে। চীনের তরফে অভিযোগ, জাপান বিদেশিদের দেশে ঢুকতেই দিচ্ছে না। জানা গিয়েছে, জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৪১ জন করোনায় আক্রান্ত। তবে তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও ৩ হাজার ৭০০ জন যাত্রী জাহাজেই আটকে রয়েছেন।
অন্যদিকে চীনা গবেষকরা এক নয়া তথ্য সামনে আনলেন। করোনা সংক্রমণের ব্যাপারে প্রথম সাপ এবং বাদুড়ের প্রসঙ্গ উঠেছিল। এবার চীনা গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, প্যাঙ্গোলিনের মাধ্যমেই করোনা ছড়িয়েছে। দক্ষিণ চীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট লিউ ইয়াহোং বলেন, তাঁরা বিভিন্ন পশুর প্রায় ১ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছেন। পরীক্ষায় তাঁরা করোনার বাহক হিসেবে প্যাঙ্গোলিনের প্রমাণ পেয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ইউরোপে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হয়েছে। ব্রিটেন, জার্মানি এবং ইতালি নতুন করে করোনা আক্রান্তের কথা ঘোষণা করেছে। তবে করোনা নিয়ে গোটা বিশ্বে আতঙ্কের কারণে চীনকে কার্যত একঘরে করা হচ্ছে বলে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং মনে করছেন। শুক্রবারই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলেন। তিনি ট্রাম্পকে বলেন, করোনা মহামারীর আকার নিলেও এই পরিস্থিতিকে ঠান্ডা মাথায় বিবেচনা করা উচিত। কারণ চীন এই রোগ প্রতিরোধে যথাযথ উদ্যোগ নিয়েছে। তাই চীনের এই উদ্যোগকে দায়িত্ব সহকারে বিচার করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেন জিনপিং। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণে চীন সরকারের গাফিলতিকে নানা মহল কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সেই সমালোচনা বন্ধ করতেই জিনপিং উদ্যোগী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।