কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বৃহস্পতিবার চীনের স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে জানানো হয়, গোটা দেশে করোনায় ৫৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মোট ২৮ হাজার ১৮ জন এই রোগে আক্রান্ত। যদিও শেনজেনের বেসরকারি ওই সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনজুড়ে মোট ২৪ হাজার ৫৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৩ জন। কাজেই বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টে মৃত এবং আক্রান্তের যে সংখ্যা সামনে এসেছে, তা চীনের সরকারি তথ্যের থেকে প্রায় দশগুণ বেশি।
এই তথ্য সামনে আসার পর স্বভাবতই চীনের স্বাস্থ্যবিভাগ চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। নানা মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাইওয়ানের এক সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, ‘উহানে ভাইরাসে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা টেনসেন্ট হঠাৎ করেই প্রকাশ করে ফেলেছে।’ টেনসেন্টের এই তথ্য প্রকাশের পর চীন সরকার বেশ চাপের মুখে। নানা মহল থেকে দেশের স্বাস্থ্যবিভাগ এবং সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যদিও তড়িঘড়ি ওই রিপোর্ট নস্যাৎ করেছে বেজিং।
এদিকে উহান থেকে ভারতে ফিরে আসা ৬৪৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ হয়নি বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। চীন থেকে ফেরার পর তাঁদের বিচ্ছিন্নভাবে সেনা ছাউনি এবং আইটিবিপির শিবিরে রাখা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ২৬৫টি উড়ানের ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭৫০ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর নেই। এর আগে কেরলের বাসিন্দা তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছিল। ওই তিনজন উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। দেশে ফেরার পর তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ভারতীয়দের মতো পাকিস্তানের ছাত্রছাত্রীরাও উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, পাকিস্তান যদি অনুরোধ করে, তবে উহানে আটকে থাকা সেদেশের পড়ুয়াদেরও ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।