গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ‘ভারতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় বিক্ষোভ’ (ন্যাশনাল ডেমোস্ট্রেশন এগেনস্ট ফ্যাসিজম ইন ইন্ডিয়া) নামে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের কয়েকটি গোষ্ঠী। ডাউনিং স্ট্রিটে জমায়েত, সেখান থেকে মিছিল করে ভারতীয় দূতাবাস যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হলেও গতকাল কর্মসূচিতে উপস্থিতির হার ছিল যথেষ্ট কম। এমনকী বিক্ষোভ চলাকালীন ভারতীয় সংবিধানের প্রতিলিপি পোড়ানোর পরিকল্পনা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক মেসেজ করা হয়। তবে সেধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। স্বাধীন কাশ্মীরের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভে উপস্থিত ছিল পাকিস্তানিরাও। তাঁরা সাফ জানান, ভারতীয় সংবিধানের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা রয়েছে। সংবিধান পোড়ানোর অধিকার কারও নেই।
বিক্ষোভকারীরা ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের পরিপন্থী সিএএ। তাই এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছিলেন ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপি স্যাম ট্যারি। তাঁর বার্তা, ‘আমরা এখানে ভারত বিরোধী বিক্ষোভে আসিনি। আমরা এসেছি ভারতপন্থী বিক্ষোভে। যে আইন দেশের ভবিষ্যতের পক্ষে শুভ নয়, তার বিরুদ্ধে সরব হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠান লেবার পার্টির এমপি স্টিফেন টিমস, ক্লাইভ লিউইস এবং ব্রিটিশ সংসদে প্রথমবার নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভুত নাদিয়া হুইটোমও। বরিস জনসনের সরকারের কাছে এই ইস্যুতে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।