বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে সম্প্রতি এক ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে সোলাঙ্গির পাশে বসে মেহেক বলছেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছি এবং এখন আমার নাম আলিজা। আমি দরগা আমরোত শরিফে গিয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছি এবং রাজা (সোলাঙ্গি)-কে বিয়ে করেছি।’ এমনকী ওই ভিডিওয় মেহেক তাঁর বয়স ১৮ বছর বলে দাবি করেছে। তবে ভিডিওটিতে জোর করে মেহেককে দিয়ে এইসব বলানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, মেহেকের পরিবারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সিন্ধ প্রদেশের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী হরিরাম কিশোরী লাল। তিনি বলেন, সিন্ধ প্রদেশের সবথেকে পুরনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হল হিন্দু। কিন্তু আকছারই সেখানে হিন্দু নাবালিকাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। মেহেকের ঘটনার নিন্দা করে মন্ত্রী বলেন, হিন্দুদের জীবন ও মৃত্যু সিন্ধ প্রদেশের মাটির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। এহেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার কখনওই কাম্য নয় বলে হরিরাম মন্তব্য করেন। আদালতের সিদ্ধান্তকেও তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি হিন্দুদের বেশিরভাগই সিন্ধু প্রদেশে বসবাস করেন। আর সেই হিন্দু মহিলাদেরই অপহরণ এবং জোর করে ধর্মান্তরকরণ ওই প্রদেশের এক নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্টে রেণুকা কুমারি নামে এক হিন্দু ছাত্রীকে অপহরণ এবং ধর্মান্তকরণের ঘটনা সামনে এসেছিল। তখন বাবর আমন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। পুলিস তার ভাইকে গ্রেপ্তারও করে।