কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সেদিনের ঘটনাকে চট্টগ্রাম গণহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। একটি শ্মশানঘাটে সব দেহ নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফেলে পুলিস। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতা দখল করার পর তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। এরপর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-কে তদন্তভার তুলে দেয় আদালত। ১৯৯০ সালে ১৪ অক্টোবর আট পুলিস আধিকারিকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জমা দেয় সিআইডি আধিকারিকরা। যদিও, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, কমিউনিস্ট পার্টির মিছিলে বোমা ছোঁড়ার মামলায় ১০ হুজি জঙ্গিকে সোমবার মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের একটি আদালত। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার বাংলাদেশি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত আরও দু’জনকে বেকসুর ঘোষণা করেছেন ঢাকা নগর দায়রা আদালতের বিচারক মহম্মদ রবিউল ইসলাম। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দান এলাকায় কমিউনিস্ট পার্টির মিছিলে বোমা ফেলে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন হরকত-উল জিহাদ আল-ইসলামির (হুজি) জঙ্গিরা। তাতে আটজনের মৃত্যু হয়। জখম হয়েছিলেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। হামলার অপরাধে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত তৎকালীন হুজির প্রধান মুফতি আব্দুল হান্নানকে প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের উপর গ্রেনেড হামলা চালানোর অপরাধে আগেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সোমবার এই মামলায় চার্জশিট প্রাপ্ত ১৩ জনের মধ্যে চারজন আদালতে হাজির ছিল। ছ’জন অভিযুক্ত এখনও অধরা।
এদিকে, রায় ঘোষণার পরেই মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলরা উচ্চ আদালতে যাবেন। তবে মামলার এক সাক্ষী অবশ্য বাংলাদেশের নিম্ন আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।