বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সম্প্রতি হ্যারি এবং মেগান জানিয়েছিলেন যে তাঁরা সাধারণের মতো জীবনযাপন করতে চান, রাজ পরিবারের কর্তব্য আর পালন করবেন না। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথাও জানিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের এই ঘোষণার পরেই হুলস্থূল পড়ে যায়। এক সপ্তাহ ধরে টানাপোড়েনের শেষে শনিবার হ্যারি এবং মেগানের ইচ্ছাকেই মান্যতা দিলেন রানি। ৯৩ বছরের রানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘কয়েক মাস ধরে মতামত বিনিময় এবং সাম্প্রতিক আলোচনার পরে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আমরা সম্মত হয়েছি। আমার নাতি এবং তাঁর পরিবার ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে পারবে।’ স্বাধীন জীবনযাপন করতে হ্যারি এবং মেগানদের যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল, বিবৃতিতে সে কথারও উল্লেখ রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রানি আসলে হ্যারি এবং মেগানের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের লড়াইয়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। সম্প্রতি, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খবর প্রকাশের জন্য কয়েকটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হ্যারিরা। রানির বিবৃতিতে কিন্তু মেগানের প্রশংসাও করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘মেগানের জন্য আমরা গর্বিত। এই সামান্য সময়ের মধ্যেই তিনি দ্রুত আমাদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছেন। দম্পতির সুখি এবং শান্তিপূর্ণ জীবন কামনা করি।’
আলাদা করে বিবৃতি জারি করেছে বাকিংহাম প্যালেসও। রাজ পরিবারের সদস্য হওয়ার সুবাদে ‘ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স’ হ্যারি এবং মেগান ‘এইচআরএইচ’ রাজকীয় পদমর্যাদা ব্যবহার করতেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ পরিবারের কর্তব্যরত সদস্য না থাকায় তাঁরা আর ‘রয়্যাল হাইনেস’ থাকবেন না। সরকারি অর্থও তাঁরা আর খরচ করতে পারবেন না। তাছাড়া, উইন্ডসর ক্যাসেলের কাছে তাঁদের বাসভবন সংস্কারের জন্য যে ২৪ লক্ষ পাউন্ড অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে হ্যারিরা নিয়েছিলেন, তাও ফেরত দিতে হবে। রানির এই রফার শর্ত সামনে আসার পরেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এটাকে শাস্তি বলতে শুরু করেছে। অনেকে এটাকে ব্রেক্সিটের মতোই ‘সম্ভাব্য কঠোরতম মেক্সিট’ বলে মন্তব্য করছেন।