ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ করেছে ইরান? জানা গিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকেই ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিক্ষোভে নেতৃত্বদান এবং ইন্ধন জোগানোর সন্দেহেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় প্রশাসন। যদিও মুক্তি পেয়ে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ট্যুইটারে দাবি করেন, বিক্ষোভের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই ছিল না। ম্যাকেয়ার লেখেন, ‘এত শুভেচ্ছাবার্তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই, আমি কোনও বিক্ষোভে অংশ নিইনি। ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম মাত্র।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘মৃতদের আত্মার শান্তিকামনায় ওখানে গিয়েছিলাম। কারণ, মৃতদের মধ্যে চারজন ব্রিটিশ নাগরিকও ছিলেন। মিনিট পাঁচেক থেকেই আমি বেরিয়ে যায়। তারপর ওই চত্বরে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। ওই এলাকা থেকে চলে আসার আধ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ এরপর ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের বিবৃতির সুর টেনেই ম্যাকেয়ার বলেন, ‘পৃথিবীর সমস্ত দেশেই কূটনীতিকদের গ্রেপ্তার করাটা সম্পূর্ণ বেআইনি।’
ইরানের মাটিতে ইউক্রেনের বিমান পিএস৭৫২ ভেঙে পড়ার ঘটনায় মোট ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন ইরানের নাগরিক। ঘটনার পরে প্রাথমিকভাবে দায় এড়ালেও পরে প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি স্বীকার করে নেন, ভুলবশত বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরানি সেনাই। এরই প্রতিবাদে গত শনিবার তেহরান সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান প্রচুর মানুষ। স্লোগান ওঠে, ‘একনায়কের মৃত্যু চাই।’ বিক্ষোভকারীদের নিশানায় যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনেই ছিলেন, তা এই স্লোগান থেকেই স্পষ্ট। একসময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। বিক্ষোভ ঠেকাতে বেশ কিছু জায়গায় কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিসকে।