ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
২০১৯ সালে উষ্ণতম বছর কাটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যার ফল তীব্র খরা। জলের আকাল দেখা দিয়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশ। একইসঙ্গে চলছে দাবানল। শয়ে শয়ে বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছে সমুদ্রসৈকতে। বিপর্যয়ের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩০জনের। অন্যদিকে, খরা কবলিত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় হাজার হাজার উট জলের সন্ধানে জনপদে ঢুকতে শুরু করেছে। এপিওয়াই ল্যান্ডের যে অংশে উটগুলি ঢুকতে শুরু করেছে সেখানে মেরেকেটে আড়াই হাজার মানুষের বাস। তাঁদের অভিযোগ, হাজার হাজার উট তাদের জীবন নাজেহাল করে তুলেছে। চাষের জমি নষ্ট করছে, খামারে ঢুকে পড়ছে। প্রচুর জল নষ্ট করছে। ওপিওয়াই ল্যান্ডের এগজিকিউটিভ কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা অত্যাধিক চাপ সৃষ্টি করছেন। জলের সন্ধানে আসা উট তাদের জীবন অসহ্য করে তুলেছে। তাঁরা দ্রুত সুরাহা চান। আশ্চর্য বিষয় হল, গণহারে উট হত্যাকে সমর্থন করেছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ দপ্তর। তাদের বক্তব্য, খরা এবং দাবানল এখন ‘অদ্ভূত বন্যপ্রাণী কল্যাণ ইস্যু’ গড়ে তুলেছে। জলের অভাবে প্রচুর উট এমনিই মারা গিয়েছে। আর জলের সন্ধানে দৌড়তে দৌড়তে নিজেদের মধ্যেও সংঘর্ষে অনেক উট প্রাণ হারিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মরা উট পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে উঠেছে।
১৮৪০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম উট আমদানি হয়। ভারত থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার উট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে বেশি উটের বাস এখানেই। উট নিধনের পাশাপাশি দাবানলে কমপক্ষে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ বণ্যপ্রাণী প্রাণ হারিয়েছে বলে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছে। দাবানল নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারানো এক স্বেচ্ছাসেবী দমকলকর্মীকে সম্মান জানালো অস্ট্রেলিয়া সরকার। সাহসিকতা এবং পরিষেবার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁর মেয়ের হাতে সম্মান তুলে দেওয়া হয়। তার আগে মেয়ের মাথায় বাবার হেলমেট পরিয়ে দেওয়া হয়। সোশ্যাল সাইটে সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে।