বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইরান-আমেরিকা সংঘাতের জেরে উত্তপ্ত পশ্চিম এশিয়া। ইতিমধ্যেই দুই দেশের সম্পর্কের কালোছায়া পড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন অন্যান্য দেশও। এই অবস্থায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানার জেরে উত্তেজনা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এপ্রসঙ্গে ইইউ’র বিদেশ নীতি বিভাগের প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, ইরাকে মার্কিন ও যৌথবাহিনীর ব্যবহৃত ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা উত্তেজনা ও সংঘাত বৃদ্ধির আরও একটি উদাহরণ। এই হিংসা চলতে থাকলে, তাতে কারও স্বার্থই রক্ষা হবে না। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে মতপ্রকাশ করেছেন তিনি।
ক্ষেপনাস্ত্র হানার নিন্দা করেছে ব্রিটেনও। ইরাকে অবস্থিত আমেরিকা ও যৌথবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে হামলা হয়েছিল। যৌথবাহিনীতে ব্রিটিশ সেনারাও রয়েছেন। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব বলেন, ‘ইরাকের সেনাঘাঁটিতে হামলার নিন্দা করছি।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, হামলার জেরে কোনও ব্রিটিশ সেনার মৃত্যু হয়নি। অন্যদিকে, এই ঘটনার পর ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর কথায়, ‘কেউ আমাদের উপর হামলা করলে, তাকে কড়া জবাব দেওয়া হবে।’ একইসঙ্গে, কাশেম সোলেমানিকে পশ্চিম এশিয়া এবং বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের প্রতিষ্ঠাতা ও চালক, অসংখ্যা মানুষের হত্যাকারী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ইরানের সেনাকর্তাকে খতম করার ক্ষেত্রে সঠিক, কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে, বুধবার সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে সংযত থাকার আবেদন জানিয়েছে চীন। তারা জানিয়েছে, সবপক্ষ শান্ত ও সংযত থাকলেই একমাত্র এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।