কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কী ঘটেছিল সেই সময়? ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ইজরায়েলি আধিকারিক। শরীর থেকে স্প্রিন্টার বের করতে অস্ত্রোপচারও করতে হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোস্তাফা আহমেদি রোশন তেহরানে খুন হন। গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়। আহমেদিকে হত্যার অভিযোগ ওঠে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। এর বদলা নিতেই দিল্লিতে ইজরায়েলি আধিকারিকের উপর হামলা হয় বলে বিভিন্ন মহলে দাবি ওঠে।
দিল্লিতে ওই হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সইদ মহম্মদ আহমেদ কাজমি নামে এক ভারতীয় সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়। এদিকে, সেই সময় প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ওই হামলায় ইরানের নাগরিকরা যুক্ত ছিল। যে পাঁচজন হামলা চালিয়েছিল, তারা ইসলামিক রেভিলিউশনারি গার্ডের সদস্য। এবং তারা দিল্লিতে এসেছিল। তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হলেও গ্রেপ্তার করা যায়নি। সেই সময়, ইসলামিক রেভিলিউশনারি গার্ডের কাদস বাহিনীতে ইরানি মেজর জেনারেল পদে ছিলেন সোলেমানি। কিন্তু, দিল্লিতে হামলার ঘটনা সংক্রান্ত কোনও রিপোর্টে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওই হামলার প্রসঙ্গ টেনেই ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন বলে অনেকের মত।
শুক্রবার, ইরানের অন্যতম সেনাকর্তার মৃত্যুর পর ফ্লোরিডায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী সোলেমানি। আজ আমরা তার চালানো হিংসায় মৃতদের স্মরণ করছি, তাঁদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। এটা ভেবে ভালো লাগছে যে, এই অঞ্চলের সন্ত্রাসের রাজত্ব শেষ হয়ে গেছে।’ পাশাপাশি, ‘বিশ্বের একনম্বর জঙ্গি’-কে খতম করতে আমেরিকা যে অপারেশন চালিয়েছে, তা আরও আগে করা উচিত ছিল বলে মতপ্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আরও আগে কাদস বাহিনীর সেনাকর্তাকে খতম করা হলে, বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো যেত। সোলেমানির নেতৃত্বে ইরানি বিক্ষোভকারীদের উপর দমনপীড়ন চালানো হচ্ছিল। এতে প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিজের দেশের সরকারের হাতে অত্যাচারিত এবং খুন হন। একইসঙ্গে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, ‘সোলেমানি মার্কিন কূটনীতিবিদ ও সেনা আধিকারিকদের উপর হামলা ও খুন করার চক্রান্ত করছিল। কিন্তু, আমরা তার ফন্দি বুঝতে পেরে তাকে শেষ করে দিয়েছি।’
এদিকে, সোলেমানের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও, বর্তমান পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে মোড় নেবে না বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।