কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কোনও দল বা ছাত্র সংগঠন এদিন বন্ধ না ডাকলেও বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জারি ছিল অসমে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সিংহভাগই ছিলেন ছাত্রছাত্রী। অন্যান্য জায়গার মতো পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয় রাজ্য সচিবালয়ের সামনেও। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিস লাঠি চালায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। সংঘর্ষ শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। ছাত্রনেতাদের দাবি, সচিবালয়ের সামনে পুলিসি পদক্ষেপে জখম হয়েছেন বহু বিক্ষোভকারী। বেসরকারি সূত্রে খবর, গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় ও জোরহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় কয়েকশো বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। যদিও পুলিস ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের থেকে এবিষয়ে কিছু জানা যাচ্ছে না।
গুয়াহাটিতে এদিন সচিবালয়ের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন প্রতিবাদী পড়ুয়ারা। পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলা হয়। আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা। সেই উপলক্ষে একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। সেটিও ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। খুলে ফেলা হয় সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যানার ও হোর্ডিং। এক ছাত্র নেতা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনও রকম চাপের কাছে আমরা মাথা নোয়াব না।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিসের সংঘর্ষ হয় ডিব্রুগড়েও। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট চালায় পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাথরের আঘাতে জখম হন এক সাংবাদিক। চাউলখোলার কাছে রেল ও রাস্তা অবরোধকারীদের ধাওয়া করে পুলিস। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে মোরানেও।
কোনও সংগঠন বন্ধ না ডাকলেও এদিন সকাল থেকে একেবারে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ শুরু হয় জোরহাট, গোলাঘাট, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, শিবসাগর, বঙ্গাইগাঁও, নগাঁও, সোনিতপুর সহ বিভিন্ন জেলায়। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের শহর চাবুয়ায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বাইক মিছিল হয়। বিশাল বাইক মিছিল হয়েছে শিবসাগর জেলার লাকওয়াতেও। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, কটন বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় এদিন তাদের সব পরীক্ষা স্থগিত রাখে। বিভিন্ন হাইওয়েতে টায়ার ও গাছের গুঁড়ি জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। জোরহাট ও ডিব্রুগড় শহরে সব দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তায় গাড়ি নামেনি। দুই জেলায় বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ও রেল অবরোধ চলে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অশান্তির মধ্যেই বুধবার মণিপুরে জারি করা হল ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) ব্যবস্থা। নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, মণিপুরের মানুষের আশঙ্কা কাটাতে সেখানে আইএলপি জারি করা হতে পারে। এর পরপরই এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অরুণাচল, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামের পর চতুর্থ রাজ্য হিসেবে মণিপুরে আইএলপি জারি হল। আইএলপি জারি হলে অন্যান্য রাজ্য সহ বাইরের মানুষকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে আসার জন্য অনুমতি নিতে হয়।