কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মার্কিন কমিশন কড়া ভাষায় বলেছে, যদি ভারত সরকার নাগরিকত্ব বিল পাশ করিয়ে দেয়, তা হলে আমেরিকা সরকার যেন অমিত শাহ এবং ভারতের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আমেরিকার পক্ষ থেকে এরকম প্রবল নিন্দাবাক্য ধেয়ে আসায় এক মুহূর্ত দেরি না করে ভারত সরকারও প্রত্যাঘাত করেছে কঠোর প্রত্যুত্তর দিয়ে। আজই ভারতের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, আমেরিকার কমিশন যে মন্তব্য করেছে তা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত এবং অজ্ঞানতার প্রকাশ। যে বিষয়টি সম্পর্কে মার্কিন কমিশনের কোনও ধারণাই নেই, সেই বিষয়েই যে ভাষায় কমিশন মন্তব্য করেছে, তা নিন্দনীয়। মার্কিন কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেছে ভারত। বলেছে, কিছু পূর্ব নির্ধারিত ধারণাকেই ধ্রুবসত্য হিসেবে বিচার করে মার্কিন কমিশন ভারত সরকার সম্পর্কে এই অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছে। ভারত কঠোর প্রতিক্রিয়া দিলেও আন্তর্জাতিক মহলের মনোভাব যথেষ্ট উদ্বেগজনক মোদি সরকারের কাছে। কারণ একা মার্কিন কমিশন নয়, আমেরিকার অন্যতম শক্তিশালী নীতি নির্ধারক কংগ্রেশনাল কমিটি, ইওরোপীয়ান ইউনিয়নের ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সকলেই আজ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের চরম সমালোচনা করেছে। কংগ্রেশনাল কমিটির রিপোর্টের উপরই মার্কিন সরকারের স্টেট ডিপার্টমেন্ট সব থেকে গুরুত্ব প্রদান করে। কংগ্রেশনাল কমিটির বিদেশ সংক্রান্ত দপ্তর বলেছে, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণ গণতন্ত্রের পক্ষে প্রবল বিপজ্জনক এক প্রবণতা। ভারত সরকার এই পথই নিচ্ছে। ইওরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে এখনও উদ্বেগ কমছে না। কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরছে না। তার মধ্যেই নাগরিকত্ব বিল আনা হয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিক অধিকার প্রদানের সঙ্গে ভারতের চরিত্রের সঙ্গে মানানসই নয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ভারতীয় সংবিধানের সামান্যতম কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। হবেও না। নাগরিকত্ব বিলের সমালোচনা তারাই করবে, যারা অজ্ঞ!