অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
মূলত তিনটি ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে রেটিং দেয় হ্যাপিকাউ। প্রথমে প্রত্যেক শহরের ভিগান-রেস্তরাঁ অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে পাঁচ মাইলের মধ্যে কতগুলি ভিগান রেস্তরাঁ রয়েছে, তা দেখা হয়। তারপর ওই একই পরিধির মধ্যে কতগুলি নিরামিষ বা নিরামিষ খাবারের অপশন ব্যবস্থা থাকা রেস্তরাঁ রয়েছে, তাও দেখা হয়। সবশেষে জনঘনত্বের নিরিখে ওই শহরে কতগুলি ভিগান রেস্তরাঁ রয়েছে, তা বিচার করে দেখা হয়। বর্তমানে লন্ডন শহরে পাঁচ মাইল পরিধির মধ্যে ১২৫টি ভিগান রেস্তরাঁ রয়েছে এবং গোটা লন্ডনে ১৫২টি সম্পূর্ণ ভিগান রেস্তরাঁ রয়েছে।
সমীক্ষার রিপোর্টে হ্যাপিকাউ দাবি করেছে, ব্রিটেনে উল্লেখযোগ্য হারে জনপ্রিয় হতে থাকা জীবনশৈলিগুলির অন্যতম হল ভেগানিজ্ম। লন্ডনের এই ভিগান-শহরের শিরোপা পাওয়াটা তারই ফসল। রিপোর্ট বলছে, ‘ভিগান খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা মানুষের সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। ভিগান সমাজের নিজস্ব সমীক্ষা বলছে, গত বছর ব্রিটেনে ৬ লক্ষ মানুষকে ভিগান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। যা গোটা দেশের মোট জনসংখ্যার ১.১৬ শতাংশ। ওই সমীক্ষাতেই আরও বলা হয়েছে, ভারতের ৩১ শতাংশ মানুষই নিরামিষ আহার করেন। সারা পৃথিবীতে যত সংখ্যক নিরামিষাশী রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি নিরামিষাশী রয়েছে ভারতে।
হ্যাপিকাউ জানিয়েছে, ক্লোই পরিচালিত নিউ ইয়র্কের ভিগান রেস্তরাঁ চেন ব্রিটেনে তাদের দু’টি শাখা খুলছে। একটি খোলা হয়েছে অক্সফোর্ড সার্কাসে এবং দ্বিতীয়টি কোভেন্ট গার্ডেনে। ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন লুইস হ্যামিল্টনের হাত ধরে লন্ডনের বুকে প্রথম ভিগান রেস্তারাঁ ‘নিট বার্গার’-এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পিৎজা চেন ‘পিৎজা হাট’ তাদের মেনুতে পুরোপুরি ভিগান খাদ্যদ্রব্য যুক্ত করেছে। অন্যদিকে, কেএফসি পরীক্ষামূলক ভাবে ‘ভেজিটেরিয়ান চিকেন’এর মতো ভিগান মেনু নিয়ে আগ্রহী হয়েছে।