পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার লন্ডনের ওয়েস্ট মিনস্টার আদালতে জাবিরের প্রত্যর্পণ মামলার শেষ সওয়াল জবাব ছিল। সেখানে আমেরিকার পক্ষ থেকে জাবিরকে দাউদের ‘ডান হাত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই শুনানিতেই মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারক জন জানি জানতে চান, আমেরিকার হাতে জাবিরকে তুলে দেওয়া হলে, তার কী হবে? তার বিরুদ্ধে চলা এই মামলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের যোগ রয়েছে কি নেই তাও জানতে চান তিনি। একইসঙ্গে জাবিরকে প্রত্যর্পিত করা হলে, মার্কিন প্রশাসনের আনা সন্ত্রাসের অভিযোগের কী হবে, সে ব্যাপারে জানতে চেয়ে আমেরিকাকে প্রশ্নের তালিকা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
বিচারক জানি আরও বলেন, ‘ভারতে বিস্ফোরণ ঘটানো সহ হাড় হিম করা একাধিক অপরাধে জড়িত দাউদের সঙ্গে জাবিরের স্পষ্ট যোগ রয়েছে।’ তখন জাবিরের আইনজীবী এডওয়ার্ড ফিৎজেরাল্ড বলেন, মাদক পাচারের অভিযোগে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জ আনা হবে না বললেও সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে আমেরিকা। এর ফলে জাবিরকে যাবজ্জীবন দেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন এডওয়ার্ড। সেক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে এই যুক্তি দিয়ে জাবিরের আমেরিকায় প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করেন তিনি।
একইসঙ্গে, জাবিরের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার স্বপক্ষেও ‘যথাযথ প্রমাণ’ মার্কিন প্রশাসন দিতে পারেনি বলেও জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। আমেরিকার হয়ে সওয়াল করা ক্রাউন প্রোসিকিউশন সার্ভিস এডওয়ার্ডের বক্তব্যের বিরোধিতা করে। জাবিরের বিরুদ্ধে আনা সন্ত্রাসের চার্জ নিয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার পরেই রায় ঘোষণা করবে আদালত। মাদক পাচার, অর্থ তছরুপে অভিযুক্ত জাবির মতি ওরফে মতিওয়ালা ওরফে সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রত্যর্পণের মামলা করেছে আমেরিকা। তার বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার তছরুপের অভিযোগ এনেছে মার্কিন প্রশাসন। সেইসঙ্গে ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো দাউদের সঙ্গে জাবিরের প্রত্যক্ষ যোগের কথাও আদালতে জানিয়েছে তারা।