কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
পৃথক পৃথক উচ্চারণ দিয়ে মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে বিচার করা হয় কি না, তা জানতে ৫০ বছর আগে বিশেষজ্ঞরা একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। তার ধাঁচেই এবারের সমীক্ষাটি করা হয়। জানা গিয়েছে, একদল স্বেচ্ছাসেবককে ৩৮ ধরনের পৃথক পৃথক ব্রিটিশ উচ্চারণ শোনান বিশেষজ্ঞরা। তাঁর লক্ষ্য ছিল, কোন উচ্চারণ শুনে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রভাবিত হচ্ছেন না। এই গবেষণায় সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি একদল আইনজীবীকেও বিভিন্ন উচ্চারণের নমুনা শোনানো হয়। দেখা হয়, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আইনজীবীরাও উচ্চারণ দিয়ে কারও বুদ্ধিমত্তা বিচার করছেন কি না। সমীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকদের একটি চাকরির সাক্ষাৎকারের রেকর্ডিং শোনানো হয়। দেখা যায়, কমবয়সিরা উচ্চারণকে পৃথকভাবে বিচার করছেন না। পরে ওই একই রেকর্ডিং চল্লিশোর্ধ্ব স্বেচ্ছাসেবকদের শোনানো হয়। দেখা যায়, ভারতীয় উচ্চারণবিশিষ্ট এবং ব্রিটেনের শ্রমিক শ্রেণীভুক্ত উচ্চারণকে তাঁরা কম দক্ষতাবিশিষ্ট বলে মনে করছেন। তাঁদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও বাকিদের তুলনায় পিছিয়ে রাখছেন। অথচ, চাকরির ওই রেকর্ডিংয়ে অন্যদের মতো ভারতীয় ও ব্রিটেনের শ্রমিক শ্রেণীভুক্ত উচ্চারণবিশিষ্টরা একই উত্তর দিয়েছেন।
অধ্যাপক শর্মা বলেন, ’৫০ বছর আগে হাওয়ার্ড গিলেসের সমীক্ষায় যে মতামত উঠে এসেছিল, তা এখনও বজায় রয়েছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এবারের সমীক্ষায় ৩৮ ধরনের পৃথক পৃথক ব্রিটিশ উচ্চারণ শোনানো হয়। তাঁরা কুইনসের ইংরেজি, ফরাসি উচ্চারণবিশিষ্ট ইংরেজি, এডিনবরার ইংরেজিকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় উচ্চারণবিশিষ্ট ইংরেজির পাশাপাশি ব্রিটেনের শ্রমিক শ্রেণীর (ককনি, লিভারপুল, এসেক্স, বার্মিংহাম) উচ্চারণকে তাঁরা বিশেষ নম্বর দেননি। অর্থাৎ, ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও ব্রিটেনের শ্রমিক শ্রেণী এবং ভারতীয় উচ্চারণবিশিষ্ট ইংরেজি আজও বিশেষ মর্যাদা পায়নি।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৫৮৯ সালে প্রথম উচ্চারণ নিয়ে ব্রিটেনের শ্রমিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতবিশিষ্ট আচরণের অভিযোগ উঠেছিল।
দেবযানী আরও বলেন, ‘জীবনে আমরা যত মানুষের সঙ্গে মিশি, সেই সমস্ত উচ্চারণের সঙ্গে আমাদের নিজে থেকেই একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু যখন এই উচ্চারণের উপর ভিত্তি করে আমাদের বুদ্ধিমত্তা বা দক্ষতার বিচার করা হয়, তখনই আমাদের সংস্কৃতিগত পার্থক্য বৈষম্যের চেহারা নেয়।’ দেবযানী আরও জানিয়েছেন, ব্রিটেনের দক্ষিণাংশে বড় হয়ে ওঠা এবং অভিজাত সম্প্রদায়ভুক্তদের মধ্যেই এই বৈষম্যের প্রভাব তুলনামূলক বেশি।