পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
পুলিসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালে চারটি জঙ্গি হামলায় ৯ জন, ২০১৪ সালে পাঁচটি ঘটনায় তিন জন, ২০১৫ সালে ২৩টি ঘটনায় ২৫ জন, ২০১৬ সালে ২৫টি ঘটনায় ৪৭ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজানে হামলার ঘটনাও রয়েছে। এই হামলার পর পুলিস-প্রশাসনের তৎপরতা ভেঙে যায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ২০১৩-২০১৬ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত জঙ্গি হামলার সংখ্যা বেশি ছিল। হোলি আর্টিজানে হামলার পর সরকার ও পুলিসের বিশেষ পদক্ষেপ ও তৎপরতায় জঙ্গি হামলা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। জঙ্গি মোকাবিলায় ঢাকা মহানগর পুলিস ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)’ গঠনের পর জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক দ্রুত ভেঙে যায়। এছাড়াও র্যা বের অভিযানও জঙ্গি মোকাবিলায় ভালো কাজ দিয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও ছিল তৎপর। তাই দ্রুত জঙ্গিদের হামলা কমিয়ে আনা গিয়েছে বলে পুলিসও মনে করছে। এ বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালের তুলনায় জঙ্গি হামলা ৯০ শতাংশ কমেছে। কিন্তু জঙ্গি আদর্শে উদ্বুদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব সঙ্কট থাকায় এই সব জঙ্গি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারছে না।
সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘উগ্রবাদীদের ফিরিয়ে আনতে ৩২টি জেলায় কর্মসূচি চলছে। এসব কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ। তিনি বলেন, জঙ্গি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। জঙ্গি মোকাবিলায় সরকার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের লজিস্টিক সাপোর্টও বেড়েছে।’২০০৪ ও ২০০৫ সালে যেসব জঙ্গি সাজা ভোগ করে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে তাদের পুনর্বাসনেও সরকার কাজ করছে। পুলিস তাদের কাউন্সিলিংয়ের মধ্যে রেখেছে। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৪২ জনের তালিকা সংগ্রহ করেছিলাম। এদের মধ্যে ২২ জনকে নির্বাচন করেছিলাম। পরে দেখা গেল, এদের মধ্যে মাত্র আট জনের আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। তাদের আর্থিক সহযোগিতা করেছি। বাকিদের অর্থের প্রয়োজন নেই। তবে তারা মূল সমাজে মিশতে পারছিল না। মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাদের সমাজে ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। সব শ্রেণীর মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’