পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুধু এই ইস্তাহার নয়, লেবার পার্টির অন্যান্য নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকেও এদিন আক্রমণ করেছেন ব্রিটেনর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এদেশে আসার জন্য ভিসা এবং অভিবাসন পরিষেবার জন্য কোনও টাকা নেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে লেবাররা। এর মানে ব্রিটেনের করদাতাদের সেই টাকা দিতে হবে। এর দরুণ ১৫০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি খরচ হতে পারে। এর বদলে সেই টাকা স্কুল এবং হাসপাতালে খরচ করা যেত।’ তাঁর মতে, একমাত্র কনজারভেটিভ পার্টির সরকারই সুষ্ঠুভাবে ব্রেক্সিট এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো পয়েন্টভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারে। বিকল্প যা হতে পারে, তা হল- ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্ট। সেক্ষেত্রে ডাউনিং স্ট্রিটে দেখা যাবে করবিনকে। যার পরিণাম দাঁড়াবে, অফুরন্ত এবং অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন, আগামী বছর আরও দু’টি গণভোট। প্রত্যেকেকে ২ হাজার ৪০০ পাউন্ড করও দিতে হবে।
লেবারদের পক্ষ থেকে একটি স্বাধীন শিক্ষামূলক ট্রাস্ট গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যা ঐতিহাসিক অন্যায়, ঔপনিবেশিকতা এবং ব্রিটিশি সাম্রাজ্যের ভূমিকাকে নিরপেক্ষভাবে জাতীয় পাঠ্যক্রমভুক্ত করবে। বিষয়টি নিয়ে লেবারদের সমতা বিষয়ক মুখপাত্র ডন বাটলার জানিয়েছেন, ‘একমাত্র ঐতিহাসিক অন্যায়গুলির স্বীকার করাই একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’ লেবারদের পক্ষ থেকে ট্রেজারি ফিনান্স মন্ত্রকে জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণে একটি শাখা খোলারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই শাখা সংখ্যালঘুদের জন্য এই প্রতিশ্রুতি কার্যকর হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি চালাবে। এই অভিনব প্রতিশ্রুতিগুলির উপর বয় করেই প্রায় এক দশক বাদে ব্রিটেনে ক্ষমতায় আসতে চাইছে করবিনের দল। এদিন ইস্তাহার প্রকাশ করে করবিনও সাফ জানিয়েছেন, ‘লেবার সাম্য ও মানবাধিকারের দল। বহু মানুষের উপর হওয়া এই অন্যায্য আচরণ বন্ধ করব আমরা।’