পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এর আগে ৮ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। ওই বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের হুমায়ুন কবীর মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলার অভিযোগ দাখিল করেন। ওই বছরের ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেয়। এরপর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ ও অভিযুক্তদের উপস্থিতির জন্য আদালত ৩০ জুলাই ধার্য করে। অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে এবং পাঁচ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
অভিযোগপত্রে আট অভিযুক্ত, হামলার মূল চক্রী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গির আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তারা সবাই জেলেবন্দি। ঘটনাস্থলে নিহত পাঁচ অভিযুক্ত হল, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মির সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। এছাড়া বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত আট অভিযুক্ত হল, তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরি, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিস কর্মী নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিস।