কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সেই ছয়ের দশকে তিব্বতের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে বেজিংয়ের রোষের মুখে পড়েন চতুর্দশ দলাই লামা। চীন বরাবরই এই ধর্মগুরুকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’র তকমা দিয়ে এসেছে। কিন্তু, বাকি বিশ্বের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েছে। ১৯৫৯ সালে চীনের হাত থেকে বাঁচতে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন দলাই লামা। তারপর থেকে হিমাচলের ধরমশালাতেই নির্বাসনের দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি ধরমশালায় এসেছিলেন ব্রাউনব্যাক। সেখানকার তিব্বতি সম্প্রদায়ের সামনে বক্তব্যও রাখেন তিনি। দলাইয়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের স্মৃতি রোমন্থন করে ব্রাউনব্যাক বলেন, ‘উনি আগে প্রচুর সফর করতেন। দারুণ কথাও বলতেন। উনি আমেরিকায় আসলেই একাধিকবার আমাদের দেখা হতো। সবসময় প্রাণবন্ত থাকতেন এবং স্পষ্ট কথা বলতেন। কিন্তু, এখন আর এত সফরের ধকল তিনি নিতে পারেন না। তাই অতীতের মতো এখন আর একা হাতে নিজের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন না।’ তাই আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে এগিয়ে এসে দলাই লামার এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানান ব্রাউনব্যাক। এরপরই এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমার মনে হয় বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আলোচনা হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে অন্যান্য আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতেও বিষয়টি উত্থাপন করা হোক।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলির সরকারকে বিষয়টিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ ইউরোপীয় দেশগুলি সবসময়ই ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারকে মর্যাদা দিয়ে থাকে।’ চীনের আগ্রাসন কী পর্যায় পৌঁছতে পারে তা বোঝাতে ব্রাউনব্যাক বলেন, ‘চীন কী করতে পারে তা পঞ্চম দলাই লামার পরিণতি দেখে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। তাই এবারেও চীন যে পদক্ষেপই নিক না কেন, আমাদের বিস্মিত করতে পারবে না। আমাদের শুধু ওদের আগে জায়গামতো পৌঁছে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।’ শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, চীনের এই ‘অন্যায্য দাবি’র তীব্র বিরোধিতা করেছেন তিব্বতি নেতারাও।