বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রুনি বলেন, আঞ্চলিক ও ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বহু বিপদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতকে। ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিক থেকে বিপদ অব্যাহত। গোটা জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারতের অন্যত্র সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে তারা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অনবরত লড়াইয়ে সমর্থন জানানো উচিত আমাদের। ফ্লোরিডার এই রিপাবলিকান প্রতিনিধি আরও বলেন, আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর কথা হয়েছে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব ও ভারত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রুনির দাবি, ভারতকে অনবরত চীনের আগ্রাসনের সামনাসামনিও হতে হচ্ছে। চীন তাদের প্রভাব খাটিয়ে চলেছে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। চীনের এই আচরণে ভারতের আশপাশে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিকে অপূরণীয় দেনার ভারে ডুবিয়ে দিচ্ছে চীন। শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতা বন্দরের ক্ষেত্রে যেমনটা ঘটেছে। পাশাপাশি দেশের পশ্চিমের প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর তথা অস্থিতিশীল পাকিস্তানের শত্রুতার মানসিকতা নিয়েও ভারতকে সর্বদা সজাগ থাকতে হচ্ছে।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ইন্দো-মার্কিন বাণিজ্যিক সম্পর্কের পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেছেন রুনি। তিনি বলেন, আমেরিকার বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের তিন শতাংশ অংশীদার ভারত। বছরের পর বছর ধরে তা বেড়েই চলেছে। একইভাবে আমেরিকা হল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী। ভারতের রপ্তানির ১৬ শতাংশ আসে আমেরিকায়। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে আমাদের। দ্বিপাক্ষিক প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার কথা বিবেচনা করতে হবে।