বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অবশ্য ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুধু যে চীন ইস্যু এমন নয়। এছাড়া শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়ও ভারতের জন্য এক বড় ইস্যু। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার কাছেও এটি অন্যতম গুরুত্ব বহন করছে। গত অক্টোবরে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গোটবায়া রাজাপাকসে জানিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তিনি কোনও তদন্ত করবেন না। অথচ রাষ্ট্রসঙ্ঘের চুক্তি অনুযায়ী গৃহযুদ্ধে যেভাবে তামিলদের হত্যা করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করার কথা রয়েছে। কিন্তু গোটবায়া তা মানেননি। শ্রীলঙ্কায় তামিলদের মানবাধিকার রক্ষার কথা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত বহুবার তুলে ধরেছে। কাজেই সেই দিক থেকে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তামিলদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে বলা যেতে পারে।
এদিন শ্রীলঙ্কার পরবর্তী শাসক নির্বাচনের জন্য ভোটদান করলেন সে দেশের মানুষ। তবে ভোট সংক্রান্ত নানা অপ্রীতিকর ঘটনাও এদিন ঘটে। এমনকী সংখ্যালঘু ভোটারের উপর আক্রমণও করা হয়। দেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচনের দিক থেকে এবারের ভোটকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে দেশের নিরাপত্তা এবারের ভোটের বড় ইস্যু। অন্যদিকে রাজনৈতিক মেরুকরণ সহ আরও নানা বিষয়ই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ভোটে সবথেকে বেশি নজর ছিল প্রার্থী গোটবায়া রাজাপাকসে, শাসক দলের প্রার্থী সাজিথ প্রেমদাস এবং ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোটের প্রার্থী অনুরা কুমার দিশানায়কের দিকে। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৫ টায় ভোটদান শেষ হয়। মৈত্রীপাল সিরিসেনার পর দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্বাচন করার জন্য এদিন প্রায় ১৬ কোটি মানুষ ভোটদান করেন।