কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
পৌনে দু’মিনিটের ওই ভিডিওতে মোশারফকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘যে সমস্ত কাশ্মীরি পাকিস্তানে আসেন, তাঁদের নায়কের মর্যাদা দেওয়া হয়। আমরা ওদের প্রশিক্ষণ এবং সমর্থন দিতাম। ওদের মুজাহিদিন হিসেবেই দেখা হতো। যারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে। তারপর ওই সময়কালে লস্কর-ই-তোইবার মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠন মাথা তুলতে শুরু করে। ওরা (জিহাদিরা) আমাদের নায়ক ছিল।’ এখানেই শেষ নয়। প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে তাঁরাই ‘ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ’-কে আমদানি করেছিলেন। যাতে রাশিয়াকে দেশ থেকে তাড়ানো যায়। মুশারফ বলেন, ‘আমরা গোটা পৃথিবী থেকে মুজাহিদিনদের তুলে এনেছিলাম। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছি। আমরা তালিবানদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগিয়ে দিই। ওরা আমাদের বীর নায়ক। জালালউদ্দিন হাক্কানি, ওসামা বিন লাদেন, আয়মান আল-জাওয়াহিরি আমাদের নায়ক ছিলেন।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এরপরই বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বিষয়গুলিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা শুরু হয়। আমাদের নায়করা অচিরেই খলনায়কে পরিণত হয়ে যান।’
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে দুনিয়া নিউজকে এই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৪ সালে পদচ্যুত হন পারভেজ মোশারফ। বেনজির ভুট্টো এবং লাল মসজিদের ইমাম হত্যা মামলায় পলাতক অপরাধী হিসেবে ঘোষিত হয় মোশারফের নাম। ২০১৬ সালে চিকিৎসার নামে দুবাই গিয়ে আর দেশে ফেরেননি তিনি।