কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
এদিকে গুরুদ্বার দরবার সাহিবে তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি এদিন বলেন, ঐতিহাসিক কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতিপরায়ণ মনোভাবকেই সামনে আনল। তিনি দুই দেশের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। কর্তারপুর করিডরের মাধ্যমে গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক গুরুদ্বারের সঙ্গে গুরুদ্বার কর্তারপুর সাহিবকে যুক্ত করা হয়েছে। চার কিলোমিটারের ওই করিডরের উদ্বোধন প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এটি (কর্তারপুর করিডর) দুই অঞ্চলের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তুলবে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনকে আরও শন্তিপূর্ণ করবে।’ তিনি এও বলেন, ‘আজ আমরা যে শুধু সীমান্ত খুলে দিলাম এমন নয়, শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আমাদের হৃদয়ের রাস্তাও খুলে দিলাম।’ ইমরান জানান, গুরু নানকের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা রয়েছে এবং শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগের যথার্থ মর্যাদা দিতে তাঁরা জানেন। পাকিস্তান সরকারের এই পদক্ষেপ এমনটাই বলে দিচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যেকোনও ধর্মীয় এবং প্রার্থনার স্থানের গুরুত্বকে বোঝেন বলেও মন্তব্য করেন ইমরান।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বর্তমানে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থায় কর্তারপুর করিডর নিয়ে গত মাসেই দুই দেশ চুক্তি স্বাক্ষর করে। কাজেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিক থেকে এই চুক্তি অত্যন্ত অর্থবহ ছিল। সেই চুক্তিমতোই এদিন কর্তারপুরে প্রথম দফার তীর্থযাত্রীরা পৌঁছলেন। ইমরান তাঁদের স্বাগতও জানান। পাক প্রধানমন্ত্রীর মতে, পাকিস্তান এটা বিশ্বাস করে যে, পারস্পরিক সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা আগামী দিনে বৃহৎ স্বার্থে কাজ করার সুযোগ করে দেবে।