নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
ক্ষমতায় এসেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশের পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিলে ইসলামাবাদে আয়োজিত সরকারি পর্যটন সম্মেলনেও এই ক্ষেত্রে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ইমরান। এর মধ্যে ধর্মীয় পর্যটনের প্রসারে, বিশেষ করে শিখ, হিন্দু এবং বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলির সংস্কারে বাড়তি জোর দেন তিনি। এরপর গতবছর নভেম্বর ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়ে কর্তারপুর করিডরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। রেকর্ড সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মদিনের আগেই তা খুলে দিতে তৈরি ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কর্তারপুর করিডর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুই ভাবেই সাহায্য করতে পারে। যেমন, দিনপ্রতি ৫ হাজার পুণ্যার্থীর কাছ থেকে আদায় করা ২০ মার্কিন ডলার দিয়ে বছরে ২৫৮ কোটি টাকা (পাকিস্তানি টাকায় ৫৭১ কোটি) আয় হবে ইসলামাবাদের। যা দেশীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির পক্ষে অবশ্যই মঙ্গলজনক। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে শুধুমাত্র পর্যটন ক্ষেত্র থেকেই প্রায় ২ হাজার ১০ কোটি মার্কিন ডলার যুক্ত হয়েছে পাক অর্থনীতিতে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কর্তারপুরের মতো এত বড় একটি ধর্মীয় পীঠস্থানকে কেন্দ্র করে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসলামাবাদ।
কাল, শনিবার ভারতীয় পুণ্যার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে যাবে কর্তারপুর করিডরের দরজা। সকালে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানকে করিডরের জন্য নবনির্মিত চেকপোস্টের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে সুলতানপুর লোধিতে অবস্থিত বের সাহিব গুরুদ্বারে প্রার্থনা করার কথা রয়েছে তাঁর। পরে ডেরা বাবা নানকে আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। এদিকে, এর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, উদ্বোধনের দিন পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে কোনও মাশুল নেওয়া হবে না। যদিও শুক্রবার সূত্র মারফত খবর মিলেছে, সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের তরফে আগাগোড়াই এই মাশুল না নেওয়ার আর্জি জানানো হলেও পাকিস্তান তাতে আমল দেয়নি। এদিকে, দিল্লিবাসীর জন্য কর্তারপুর যাত্রা বিনামূল্যে করার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানান, দিল্লি সরকারের ‘মুখ্যমন্ত্রী তীর্থযাত্রা যোজনা’ প্রকল্পের অধীনে তীর্থযাত্রীদের সমস্ত খরচ রাজ্য সরকারই বহন করবে।