ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এখানেই শেষ নয়। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘যদিও পাকিস্তানের জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী, কোনও সশস্ত্র সংগঠনকেই দেশের মাটিতে সক্রিয় থাকতে দেওয়ার কথা নয় পাক সরকারের। তবুও হাক্কানি নেটওয়ার্ক, লস্কর এবং জয়েশের মতো এই ধরনের একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী ২০১৮ সালে পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে অন্য দেশে নাশকতা চালিয়ে গিয়েছে।’ এক্ষেত্রে দেশের মাটিতে সক্রিয় জঙ্গি শিবিরগুলিকে ধ্বংস করতে পাক সরকার এবং সেনাবাহিনী লাগাতার ‘অসঙ্গত’ পদক্ষেপ গ্রহণ করে গিয়েছে বলেও আক্রমণ করা হয়েছে ওই মার্কিন রিপোর্টে।
অন্যদিকে ওই একই রিপোর্টে ভারতের অংশটিতে বলা হয়েছে, মৌলবাদী কট্টরপন্থী ভাবধারার প্রচার এবং জঙ্গি গোষ্ঠীতে নিয়োগপ্রক্রিয়া চালাতে ইন্টারনেটের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি ভারতের সরকারি আমলা, উচ্চপদস্থ কর্তা, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের মেসেজিং অ্যাপে আড়ি পাতার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকের অধীনস্থ সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে, ওই সমস্ত ভারতীয়দের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’ ব্যবহার করে আড়ি পাতছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। তার দিন কয়েকের মধ্যেই মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এই রিপোর্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেট এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে কট্টরপন্থী ভাবধারার প্রচার, যুবসমাজকে জঙ্গি কার্যকলাপে নিয়োগের পাশাপাশি দুই ধর্মের মধ্যে সঙ্ঘাত তৈরির চেষ্টার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় আধিকারিকরা খুবই উদ্বিগ্ন।’ সেখানে আরও দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ ভারত থেকে সারা বছরই অনলাইনে জঙ্গি ভাবধারা প্রচারের অভিযোগ আসে। এর মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের আইএস মডিউলগুলিতে লোক সরবরাহের অভিযোগও রয়েছে। এই ইস্যুতে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিরোধী পদক্ষেপ নিতে ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সমস্ত বড় সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।