বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
টোকিও ওলিম্পিক সংগঠক কমিটির পক্ষ থেকে এর জন্য ২০১৭ সালের প্রথম দিকেই ‘টোকিও ২০২০ মেডেল প্রকল্প’ চালু করা হয়েছিল। সেখানে দেশের জনগণের কাছে আবেদন করা হয়, তাঁদের ব্যবহৃত এবং পরে বাতিল হওয়া ছোট ছোট বৈদ্যুতিন সামগ্রীগুলি ওলিম্পিক উদ্যোক্তাদের দিয়ে দিতে। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাপানের সাধারণ মানুষ বিপুল আগ্রহ নিয়ে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১৬২১টি পুরসভার মাধ্যমে এই ই-বর্জ্যগুলি সংগ্রহ করা হয়। পুরসভাগুলি বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে নগরবাসীর কাছ থেকে তা সংগ্রহ করে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই বর্জ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষ ডাস্টবিনও তৈরি করা হয়েছিল। সেখান থেকেও প্রচুর ই-বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে একটি বেসরকারি মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাকে এই কাজে নিযুক্ত করা হয়। উদ্যোক্তারা জানান, ২০১৭ সালে ১ এপ্রিল থেকে এই ই-বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছিল। মূলত মোবাইল ফোনকেই বেছে নেওয়া হয় এই প্রকল্পের আওতায়। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ছোট ছোট ই-বর্জ্যও সংগ্রহ করা হয়।
উদ্যোক্তারা আরও জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় দু’বছর এই ই-বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৭৮ হাজার ৯৮৫ টন ই-বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও ওই বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন আউটলেটের মাধ্যমে ৬২ লক্ষ ১০ হাজার মোবাইল সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন এই সমস্ত ই-বর্জ্য থেকে সোনা, রুপো এবং ব্রোঞ্জ সংগ্রহ করা হবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরিতে এই সমস্ত পদার্থগুলি খুব সামান্য পরিমাণ হলেও ব্যবহার হয়ে থাকে। সেগুলিই সংগ্রহ করা শুরু হয়। ইতিমধ্যে সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। সব মিলিয়ে ওই পরিমাণ বর্জ্য থেকে ৩২ কেজি সোনা, ৩৫০০ কেজি রুপো এবং ২২০০ কেজি ব্রোঞ্জ উদ্ধার করা হচ্ছে।
পরবর্তী ধাপে সেগুলি দিয়েই ওই পাঁচ হাজার মেডেল বানানোর কাজও হবে। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের ফলে দেশের ই-বর্জ্যের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে। ওই বিপুল পরিমাণ ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতেও নাগরিকরা এবিষয়ে সচেতন থেকে তাঁদের বাতিল ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ফেলে দেবেন না। পুনর্ব্যবহার করার জন্য সেগুলি সঠিক জায়গাতেই দেবেন।