গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বেশ কিছুদিন ধরেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তলিয়ে যাওয়া যুদ্ধজাহাজের খোঁজ চালাচ্ছেন সমুদ্র গবেষক এবং ঐতিহাসিকদের একটি দল। রবিবার তাদের পাঠানো হাই ফ্রিকোয়েন্সি সোনার ইমেজ পরীক্ষা করে দেখেন সংস্থার আন্ডারসি অপারেশন্সের ডিরেক্টর রব ক্র্যাফ্ট এবং নৌবহরের ইতিহাস ও হেরিটেজ কমান্ডের ঐতিহাসিক ফ্রাঙ্ক থম্পসন। যুদ্ধজাহাজটির আকার এবং অবস্থান খতিয়ে দেখে সেটিকে জাপানি এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার আকাগি বলেই মনে করছেন তাঁরা। পার্ল হারবার থেকে ১,৩০০ মাইল দূরে প্রায় ১৮ হাজার ফুট জলের নীচে যুদ্ধজাহাজটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। একাজে জলের তলায় চলাচলকারী একটি অটোনমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল (এইউভি) ব্যবহার করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক ফ্রাঙ্ক জানিয়েছেন, ‘আমরা এই যুদ্ধ সম্পর্কে পড়েছি, জানি কী হয়েছিল। কিন্তু যখন আপনি সমুদ্রের তলায় এই ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাবেন, তখন বুঝতে পারবেন যুদ্ধে কী মূল্য চোকাতে হয়।’ এই ধরনের ধ্বংসাবশেষকে ‘যুদ্ধের কবর’ বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। মিডওয়ের যুদ্ধে তলিয়ে যাওয়া পাঁচটি জাপানি এবং দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের বাকিগুলির সন্ধান মেলেনি। এই অনুসন্ধান অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রয়াত মার্কিন ধনকুবের তথা মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালান। তাঁর উদ্যোগে সমুদ্রে ঘরে তলিয়ে যাওয়া যুদ্ধজাহাজগুলি চিহ্নিত করছেন গবেষকরা। একাজে মার্কিন নৌবাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত এরকম ৩০টি যুদ্ধজাহাজ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রশান্ত মহাসাগরের দখল নিতে ঝাঁপিয়েছিল আমেরিকা এবং জাপান। প্রথমে পার্ল হারবারে মার্কিন নৌবাহিনীর উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে জাপানিরা। ৫ মাস পর ফের জলপথে হামলার ছক কষেছিল জাপান। কিন্তু, তাদের গোপন বার্তা জানতে পেরে যান মার্কিন গোয়েন্দারা। ১৯৪২ সালের ৪ জুন জাপানিদের অবাক করে তাদের উপর হামলা করে আমেরিকা। উত্তর-পশ্চিম হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মিডওয়ে অ্যাটোলের (তৎকালীন মার্কিন সামরিক ঘাঁটি) কাছে হওয়া রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধ ইতিহাসে মিডওয়ের যুদ্ধ নামে পরিচিত। মারা গিয়েছিলেন কমপক্ষে ২,০০০ জাপানি এবং ৩০০ মার্কিন সেনা।