লাহোর, ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি ২০ অক্টোবর (পিটিআই): দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলে যাচ্ছে কর্তারপুর করিডর। রবিবার এই ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানিয়েছেন, কর্তারপুর করিডর নির্মাণের কাজ শেষের পথে। আগামী ৯ নভেম্বর করিডরের দরজা খুলে যাবে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য। পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, করিডর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সীমান্তে শিখদের দু’টি ধর্মস্থান দরবার সাহিব ও ডেরা বাবা নানকের সংযোগ ঘটাতেই কর্তারপুর করিডর নির্মাণ করছে পাকিস্তান। দরবার সাহিবের অবস্থান কর্তারপুরে। আর ডেরা বাবা নানকের অবস্থান পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলায়। দু’দেশ সহ বিশ্বের শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ যাতে ভিসা ছাড়াই দু’টি ধর্মস্থান দর্শন করতে পারেন, সেটাই করিডর নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য। এদিন করিডর খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর পরই অনলাইনে নাম নথিভুক্তির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। গতকালই এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে চুক্তিও হয়। সূত্রের খবর, সেই চুক্তিতে কিছু জটিলতার কারণেই অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভবহয়নি। তার উপর পাকিস্তান প্রত্যেক পুণ্যার্থীপিছু ২০ ডলার (প্রায় দেড় হাজার টাকা) ধার্য করেছে পাকিস্তান। যাতে প্রবল আপত্তি রয়েছে ভারতের। এ ব্যাপারে ইসলামাবাদকে বিবেচনার আর্জিও রেখেছে নয়াদিল্লি। তাতে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি বলে খবর। সেই কারণে পূর্ব ঘোষণা সত্ত্বেও শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য অনলাইনে নাম নথিভুক্তির প্রক্রিয়া চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে নয়াদিল্লির আশা, বিষয়টি খুব শীঘ্রই মিটে যাবে।
এদিন কর্তারপুর খুলে দেওয়ার ঘোষণা করে ইমরান খান বলেছেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ গুরুদ্বারে ভারত সহ বিশ্বের শিখ ধর্মাবলম্বীদের যাতায়াতে আর কোনও অসুবিধা রইল না। ভিসা ছাড়াই তাঁরা দরবার সাহিব দর্শন করতে পারবেন। কর্তারপুর করিডর নির্মাণের উদ্যোগ ওই অঞ্চলের আর্থিক উন্নয়ন ঘটাবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ধর্মীয় পর্যটনের উপর পাকিস্তান জোর দিয়েছে। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পাকিস্তান বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। তারই অন্যতম পদক্ষেপ হল কর্তারপুর করিডর নির্মাণ। এদিন, পাকিস্তানের সংবাদ পত্র ‘ডন’ সেদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকবেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কুরেশি বলেছেন, ‘আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উদ্বোধনে থাকবেন মনমোহন সিং। আমাদের আমন্ত্রণ তিনি গ্রহণ করেছেন। কর্তারপুরে তাঁকে স্বাগত জানাতে তৈরি পাকিস্তান।’