দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
সূত্রের খবর, ২৩ সেপ্টেম্বর ভুল করে দিল্লি থেকে কাবুলগামী বোয়িং ৭৩৭ উড়ান পাকিস্তানের আকাশপথে ঢুকে পড়লে তার পথ আটকায় পাক বায়ুসেনা। নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে বিমানটিকে নীচের দিকে নেমে আসার নির্দেশ দেয় তারা। এরপরই স্পাইসজেটের পাইলট পাক বায়ুসেনার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেকে কর্মাশিয়াল উড়ান সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। সব তথ্য জানার পর রীতিমতো এসকর্ট করে বিমানটিকে আফগান আকাশপথে পৌঁছে দেয় পাকিস্তানি বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। স্পাইসজেট অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি।
২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে জয়েশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়ে আসার পর ভারতের সঙ্গে আকাশপথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইসলামাবাদ। ভারতের সব বাণিজ্যিক উড়ানের যাতায়াত বন্ধ করে ইমরান খানের সরকার। যদিও জুলাই মাসে পাক অসামরিক পরিবহণমন্ত্রী জানান, আকাশপথে নিষেধাজ্ঞার জেরে তাঁদের পাঁচ কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এরপরই আংশিকভাবে পথ খোলা হয়। আগস্টের শুরুতে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর ফের পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আয়ারল্যান্ডের জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিমান পাকিস্তান আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি চাইলে বেঁকে বসে ইমরান খানের সরকার। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানান, কাশ্মীর নিয়ে মোদি সরকারের পদক্ষেপ তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। এর পাল্টা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পাকিস্তান যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, তা এই সিদ্ধান্ত থেকেই প্রমাণ। কোনও কারণ ছাড়াই একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের পুরনো অভ্যাস।