কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০১৮ সালে আনসার আল ইসলামের গোয়েন্দা শাখার প্রধান জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদে সে সেই সময়ই পুলিসকে জানিয়েছিল, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও মণিপুরের বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘কুকি বিদ্রোহী’দের কাছ থেকে আনসার আল ইসলাম প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কুকি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহের একটা চেষ্টাও তাঁদের রয়েছে। বাংলাদেশে পুলিসের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) এক কর্তা জানিয়েছেন, ভারত থেকে তাঁরা মাহমুদ হাসান সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছেন। মাহমুদ নরসিংদীর বাহারচরের একটি মাদ্রাসায় চার বছর লেখাপড়া করেছে। এরপর ছ’বছর লেখাপড়া করে শেখেরচর জামিয়া মাদ্রাসায়। মাহমুদ কোরান শরিফ পড়তে পারে। উর্দু, ইংরেজি ও বাংলায় তাঁর অক্ষরজ্ঞান রয়েছে। মুনির নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে সে ভারতে আসে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ঢাকা থেকে মুনির তাঁকে একটি ‘আধার কার্ড’ বানিয়ে দেয়। ওই কার্ডে তাঁর নাম লেখা হয় শরিফুল ইসলাম। মহম্মদ সইদ হুসেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি সিটিটিসির ওই কর্তা।
এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভারতে গ্রেপ্তার হয় আনসার আল ইসলামের বিস্ফোরক বিভাগের শীর্ষস্থানীয় দু’জন নেতা শামসাদ মিয়া ওরফে তানভির ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস ও খুলনার কপিলমুনির রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন। কলকাতা পুলিস তাঁদের কাছ থেকে জাল আধার কার্ড উদ্ধার করেছিল। তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিলেন ভারতীয় নাগরিক মনতোষ দে ওরফে মনাদা। মনতোষ একটি পিস্তল ও একটি একনলা বন্দুক হস্তান্তরের আগে অস্ত্র নমুনা হিসেবে ওই দুজনকে দেখাতে এসেছিল। বাংলাদেশের সিটিটিসি কর্তারা গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুজনকে জেরা করতে ভারতে এসেছিলেন সেই সময়। ঢাকায় বাড্ডার সাঁতারকুল, দক্ষিণখান ও মহম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে ২০১৬ সালে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়েছিলেন তাঁরা। এর কিছুদিন পরই ওই দুজন ভারতে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার ওই দুজনই বোমা বানানোয় পারদর্শী ছিল।