গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থায় কোনও সঙ্কট রয়েছে কি না, তার উপর নজরদারি চালায় এফএটিএফ। ১৯৮৯ সালে এই সংস্থা তৈরি করা হয়েছে। এফএটিএফের তৈরি ধূসর তালিকায় থাকলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার থেকে পাকিস্তানের পক্ষে ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। মঙ্গলবার প্যারিসে বৈঠকে বসে এফএটিএফের নজরদারি কমিটি। তারা পাকিস্তানের ভূমিকায় আদৌ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। সম্পূর্ণ রূপে জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য বন্ধ করতে মঙ্গলবার পাকিস্তানকে কার্যত নির্দেশ দিয়েছে তারা। এত কিছুর পরেও তাদের ধূসর তালিকা থেকে বার করার ব্যাপারে পাকিস্তান আশাবাদী। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রকের মুখপাত্র ওমর হামিদ খান দেশের ধূসর তালিকায় থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে বলেছেন, ‘১৮ অক্টোবরের আগে কোনও কিছুই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।’ ১৮ ফেব্রুয়ারিই এই নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।
অপরদিকে, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হাম্মাদ আজহারের দাবি, জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য বন্ধ করতে এফএটিএফের বেঁধে দেওয়া ২৭টি শর্তের মধ্যে ২০টি পূর্ণ করেছে ইসালামাবাদ। চীন, তুরস্ক এবং মালয়েশিয়া পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। কালো তালিকার বাইরে থাকার জন্য অন্তত তিনটি দেশের সমর্থন প্রয়োজন। আপাতত এই দেশগুলির সমর্থনেই স্বস্তি খুঁজছে পাকিস্তান। গত বছর জুন মাসে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় স্থান দেয় প্যারিস ভিত্তিক সংস্থা এফএটিএফ। এই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়। এই শর্তগুলি ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে পাকিস্তানকে পূর্ণ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নয়তো আরও কঠোর কালো তালিকায় পাকিস্তানকে স্থান দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ইসলামাবাদকে প্রত্যেক ছ’মাস অন্তর তাদের পারফর্মেন্স রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।