গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন হরিয়ানার দাদরিতে দ্বিতীয়বার নির্বাচনী প্রচারে আসেন মোদি। সেখানে হরিয়ানা ও রাজস্থানের জলে পাকিস্তানের ভাগ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। সন্ত্রাস দমনের প্রশ্নে পড়শি দেশকে জব্দ করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘টানা ৭০ বছর ধরে ভারতের জলে ভাগ বসিয়ে আসছে পাকিস্তান। যে জলের উপর হক অধিকার একমাত্র হরিয়ানা ও রাজস্থানের কৃষকদের। এবার সেই জল পাকিস্তানে যাওয়া বন্ধ করে দেবেন মোদি। যা আগের কোনও সরকার করে দেখাতে পারেনি।’ পাকিস্তানকে জল বন্ধ করার ব্যাপারে হরিয়ানা ও রাজস্থানের কৃষকদের দাবি দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনও করেছেন কৃষকরা। এদিন তাঁদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে মোদি বলেছেন, ‘এবার থেকে আপনাদের আন্দোলনে আমিও রয়েছি। পাকিস্তানকে আর জল নয়।’
জলের ভাগ নিয়ে পড়শি দেশকে কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ফের কাশ্মীর ইস্যুতেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন মোদি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে তাঁর অভিযোগ। কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাহস থাকলে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির প্রশ্নে দলের অবস্থান স্পষ্ট করুন। চিৎকার করে বলুন, ক্ষমতায় ফিরলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেবেন।’ এর পরেই নাম না করে রাহুলের বিদেশ সফরকে খোঁচা দিয়েছেন মোদি। হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে ভোট মরশুমের মধ্যেই রাহুলের বিদেশে যাওয়া নিয়ে গেরুয়া শিবির সরব। এদিন মোদি বলেছেন, ‘ব্যাঙ্কক, থাইল্যান্ড কিংবা ভিয়েতানাম। যেখান থেকে বিনামূল্যে ‘বিরোধিতা’ আমদানি করুন আপত্তি নেই। কিন্তু দেশের অগ্রগতির প্রক্রিয়াকে পিছন থেকে ছুরি মারবেন না।’ মোদির এই কথার সূত্র ধরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ।
এদিন গুরুগ্রামে ‘দ্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’-এর ৩৫ তম উত্থান দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ। সেখানে তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরকে অশান্ত করে তোলার পিছনে মূল কারিগর পাকিস্তান। দীর্ঘকাল ধরে সীমান্তে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জঙ্গিদের মদত দিয়ে উপত্যকায় অশান্তি পাকাচ্ছে। মূলত এসবের বিরুদ্ধেই ‘নিষ্পত্তিমূলক লড়াই’ ছিল ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত। আর সেই লড়াইয়ে সাফল্য পেয়েছে মোদি সরকার। ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে সরকারের এই সাহসী সিদ্ধান্ত।’ শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের দিন শেষ হবে বলেও দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।