পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুকার জিতে অবশ্য নজির গড়েছেন দু’জনেই। ৭৯ বছরের মার্গারেট হলেন বুকারজয়ীদের ইতিহাসে বয়স্কতম। ‘দ্য টেস্টামেন্ট’ বইটির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০০০ সালে ‘দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসাসিন’ বইটির জন্য বুকার পেয়েছিলেন মার্গারেট। দু’বার এই পুরস্কার জয়ীদের মধ্যে তিনি চতুর্থ। অন্যদিকে, ‘গার্ল, উওম্যান, আদার’ বইটির জন্য প্রথম কৃষ্ণাঙ্গী সাহিত্যিক হিসেবে এবার বুকার জিতেছেন বার্নার্ডাইন এভারিস্তো।
১৯৬৯ সাল থেকে চালু হয়েছে বুকার পুরস্কার। এই ক’বছরে মাত্র তিনবার দু’জনকে তা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের পর নিয়ম বদল হয়েছিল। এবারও আয়োজকরা বিচারকদের জানিয়ে ছিলেন কোনওভাবেই দু’জনকে পুরস্কার ভাগ করে দেওয়া যাবে না। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার আলোচনার পর পাঁচ সদস্যের বিচারকমণ্ডলীর প্রধান পিটার ফ্লোরেন্স জানিয়েছেন, ‘এবারের জন্য এই নিয়ম উপেক্ষা করা হোক। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। আমরা যত নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম, ততই বুঝতে পারছিলাম যে আমরা সবাই চাই দু’জনেই এই পুরস্কার জিতুন।’
অন্য সাহিত্যিকের সঙ্গে পুরস্কার ভাগে অবশ্য খেদ নেই মার্গারেট বা বার্নার্ডাইন কারও। পুরস্কার নিতে গিয়ে এই নিয়ে মজাও করেন মার্গারেট। বলেন, আমার বয়স হয়েছে। এই বয়সে আমি এত কিছু চাই না। আমি যদি এই মঞ্চে একা থাকতাম, সেটা আমার জন্য বিব্রতকর হতো। আমি খুশি যে আপনি (বার্নার্ডাইন) আমার সঙ্গে রয়েছেন।’ প্রথম কৃষ্ণাঙ্গী লেখিকা হিসেবে এই পুরস্কার জয়ে খুশি বার্নার্ডাইনও। এই ধরণের সাহিত্য পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা কম থাকার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।