কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কিন্তু বিগত এক বছরেও পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনে উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই অভিযোগ। তাই এবারও বৈঠকের আগেই ওই সংস্থার পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এবার যদি পাকিস্তানের অবনমন ঘটিয়ে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়, তা হলে আর্থিক ভাবে পাকিস্তান তীব্র সঙ্কটে পড়বে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও মুখ পুড়বে ইমরান খানের। ভারতও যে এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে উদগ্রীব তা স্পষ্ট। আজই ওই সম্ভাবনার কথা জানিয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল দেশের প্রথম সারির গোয়েন্দা, সন্ত্রাসদমন শাখা এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠকে বলেছেন, আমাদের এখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব রকম প্রমাণ ও নথি সংগ্রহ করতে হবে।
দিল্লি পুলিশকে বিশেষ করে আজ দোভাল বলেছেন, পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ভাবে কোণঠাসা করা এখন সময়ের অপেক্ষা। প্যারিসে আয়োজিত ওই ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে পাকিস্তানের স্ট্যাটাসের আরও অবনমন ঘটানো হবে। অজিত দোভাল বলেছেন, ইতিমধ্যেই সীমান্ত এলাকা থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, পাকিস্তান প্রচণ্ড আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছে। কারণ সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখায় জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া যে পাকিস্তান বন্ধ করেনি, সেটা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন বিভাগগুলি জেনে গিয়েছে। আর সেই কারণেই প্যারিসের বৈঠকের আগেই পাকিস্তান আভাস পাচ্ছে, তাদের উপর নেমে আসতে চলেছে বড়সড় আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। সেই সুযোগ আমাদের নিতে হবে।
এদিকে পাকিস্তানকে বাঁচাতে এখন তাদের ভরসা তিনটি দেশ। মোট ২০৫টি রাষ্ট্র প্যারিসের ওই বৈঠকে অংশ নিচ্ছে। নিয়ম হল পাকিস্তানের অবনমন ঘটিয়ে যদি কালো তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব আনা হয়, তাহলে তিনটি দেশ বিরুদ্ধে ভোট দিলেই সেই প্রস্তাব গ্রাহ্য করা হবে না। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান আশা করছে তুরস্ক, চীন, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব পাকিস্তানের পাশে থাকবে। বিশেষ করে পাকিস্তানের কাছে আশার কথা, বর্তমান বছরে এই ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স সংস্থার নেতৃত্বের চেয়ারে আছে পাক-বন্ধু চীন। সুতরাং পাকিস্তান আশা করছে তাদের স্ট্যাটাস গ্রে তালিকাতেই রয়ে যাবে।