গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য এবছর তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত। একইভাবে স্কুল কামাই করে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলা কিশোরী গ্রেটাও ছিলেন পুরস্কারের দাবিদার। তবে নোবেল কমিটির বিচারে তাঁদেরকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন ৪৩ বছর বয়সি অ্যাবি। মাত্র দেড়বছরের শাসনকাল তাঁকে এই পুরস্কারের যোগ্য করে তুলেছে।
২০১৮ সালের এপ্রিলে দেশজুড়ে শাসকবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। ক্ষমতায় এসেই ইরিট্রিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির কথা ঘোষণা করে দেশবাসীকে চমকে দিয়েছিলেন আফ্রিকার এই কনিষ্ঠতম নেতা। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইরিট্রিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা আসেন। এবং প্রায় দু’দশক পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যোগাযোগ এবং পরিবহণ ব্যবস্থা ফের চালু হয়। ইরিট্রিয়ার উপর থেকে উঠে যায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞাও। তবে, এখনও দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয়নি। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত শিবিরগুলি বন্ধ রেখেছে ইরিট্রিয়া।
১০ হাজারের মতো বন্দিকে মুক্তি দেওয়া, বিরোধী গোষ্ঠীগুলি থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফেরানো - জাতীয় রাজনীতিতেও একাধিক চমক দিয়েছেন অ্যাবি। গত এক বছরে এই প্রথম কোনও সাংবাদিক সেদেশে জেলে যায়নি। বর্তমানে সেখানকার মন্ত্রিসভায় লিঙ্গসাম্য রয়েছে। রয়েছে মহিলা প্রেসিডেন্ট। যা আফ্রিকার মতো মহাদেশে বিরল তো বটেই, বিশ্বেও এই নজির হাতেগোনা। ২০২০ সালে ইথিওপিয়ায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার পাশাপাশি অর্থনীতির ক্ষেত্রে উদারীকরণের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও, এই মুহূর্তে ইথিওপিয়ার পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির সংঘর্ষে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতির মোকাবিলাই এখন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী অ্যাবির সামনে মূল চ্যালেঞ্জ।