কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত বছর ‘মি-টু’ আন্দোলনের ঢেউয়ের আঘাতে কালিমালিপ্ত হয় সুইডিশ অ্যাকাডেমি। অ্যাকাডেমির এক সদস্যার স্বামী তথা জনপ্রিয় আলোকচিত্রী জঁ ক্লদ আর্নাল্টের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। অ্যাকাডেমির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্টতাকে কাজে লাগিয়ে এক মহিলার সঙ্গে তিনি অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আগেভাগে নোবেল বিজয়ীর নাম ফাঁস করে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালতের রায়ে আর্নাল্টের দু’বছরের কারাদণ্ডও হয়। এই কেলেঙ্কারির জেরেই ২০১৮ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা স্থগিত রাখে অ্যাকাডেমি।
এ বছর পোলিস লেখিকা তোকারচুককে ২০১৮ সালের সাহিত্যে নোবেলজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছে অ্যাকাডেমি। ১৯০১ সাল থেকে সাহিত্যে নোবেল প্রাপকের তালিকায় রয়েছে ১১৬ জন। মহিলা সাহিত্যিকের মধ্যে ১৫তম স্থান দখল করলেন তোকারচুক। ৫৭ বছর বয়সী এই লেখিরার জন্ম ১৯৬২ সালে। ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনস্তাত্বিক বিষয়ের উপর স্নাতক হন তিনি। সাহিত্য জগতে তাঁর বিচরণ শুরু কবিতা লিখে। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য জার্নি অব দ্য পিপল অব দ্য বুক’। ২০১৭ সালে ‘ফ্লাইটস’ উপন্যাসের জন্য আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন তোকারচুক। বাণিজ্যিকভাবে নিজের প্রজন্মের সবচেয়ে সফল লেখিকা বলে মনে করা হয় তাঁকে।
১৯৪২ সালে বার্লিন শহরে জন্ম অস্ট্রিয়ান লেখক পিটার হান্দেকের। ২০১৯ সালের সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। উপন্যাস, নাটক লেখার পাশাপাশি অনুবাদক হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। তাঁর বেশ কয়েকটি উপন্যাস নিয়ে সিনেমাও হয়েছে। হান্দেকের প্রায় প্রতিটি নাটক ও উপন্যাসে উঠে এসেছে যুদ্ধের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা। নিজের লেখনীকে শানিয়েছেন পশ্চিমি দুনিয়াকে বিঁধে। এর জন্য কম খেসারতও দিতে হয়নি তাঁকে। বরাবরই নিজেকে বিতর্কের মধ্যে রেখেই নোবেল পুরস্কার পেলেন হান্দেক।