বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গতকাল জার্মানির হ্যাল শহরে একটি কাবাবের দোকানে হামলা চালায় বন্দুকবাজরা। ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। গুলিতে মৃত্যু হয় দু’জনের। হামলাকারীরা ইহুদিদের একটি সমাধিস্থলেও চড়াও হয়। সেখানে তারা গ্রেনেড ছুঁড়লেও সেটি ফাটেনি। জার্মানির দৈনিক পত্রিকা ‘বিল্ড’কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সামরিক পোশাকে এসেছিল। গ্রেনেডে বিস্ফোরণ না হওয়ায় তারা একটি কাবাবের দোকানে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ইহুদিদের হত্যা করাই তাদের লক্ষ্য ছিল বলে এদিন জোরালো দাবি তুলেছেন ইহুদি নেতারা। যোশেফ শ্যুস্টার বলেছেন, ‘বুধবার ছিল ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র দিন ইওম কিপুর। এমন একটি দিনে হামলার ঘটনাই প্রমাণ করে ইহুদি-বিদ্বেষ এখনও জার্মানি থেকে শেষ হয়ে যায়নি। সরকারের তরফে উপাসনালয়গুলিতে যতটা নিরাপত্তা দেওয়া উচিত ছিল, সেটাও দেওয়া হয়নি।’ ইওম কিপুর দিবস পালনে হ্যালে শহরে পুলিসি নিরাপত্তা কঠোর ছিল না বলেও অভিযোগ তুলেছেন যোশেফ। তিনি বলেছেন, ‘এই সব পবিত্র দিনে জার্মানির প্রতিটি শহরে নিরপাত্তা জোরদার করা উচিত ছিল পুলিসের। সেটা করা হয়নি হ্যালে সহ অন্যান্য শহরে। নিরাপত্তার এই ঢিলেঢালা ব্যবস্থাকেই কাজে লাগিয়েছে চরমপন্থীরা।’
এদিন হ্যালের ঘটনার প্রতিবাদে জার্মানির বিভিন্ন শহরের উপাসনালয়গুলিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভেও শামিল হন ইহুদিরা। তাঁরা চরমপন্থী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন। এদিকে, গ্রেপ্তার হওয়া এক বন্দুকবাজের পরিচয় ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে জানা গিয়েছে, ২৭ বছরের ওই হামলাকারীর নাম স্টিফেন ব্যালিয়েট। সে কট্টর ইহুদি বিদ্বেষী। গুলি চালানোর আগে নিজেকে ইহুদি বিরোধী বলে পরিচয় দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেছিল সে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই ইহুদি বিদ্বেষ সংক্রান্ত একটি ‘ইস্তাহার’ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করত স্টিফেন।