পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় মা–বাবা, অ্যাথলেটিক কোচসহ ৫০ জন অভিযুক্ত হয়েছেন। তবে কারও সন্তানকে অভিযুক্ত করা হয়নি। আদালত রায় ঘোষণার পর বিচারককে লেখা চিঠিতে ক্ষমা চেয়ে হফম্যান বলেন, ‘আমার কর্মকাণ্ডের পক্ষে কোনও যুক্তি বা অজুহাত দাঁড় জরাতে চাই না। আমি আবারও আমার মেয়ের কাছে, স্বামীর কাছে, পরিবারের কাছে এবং শিক্ষাসমাজের কাছে ক্ষমা চাইছি। বিশেষ করে আমি ক্ষমা চাইছি শিক্ষার্থীদের কাছে, যারা প্রতিনিয়ত কলেজে ভর্তি হতে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং তাদের বাবা-মায়ের কাছে, যাঁরা সন্তানদের জন্য প্রচণ্ড ত্যাগ স্বীকার করছেন।’ বিচারক ইন্দিরা তালওয়ানি বলেন, হফম্যান তাঁর কর্মকাণ্ডের পুরো দায়ভার নিয়েছেন। কিন্তু ‘ভালো মা হতে চাওয়া (এই কর্মকাণ্ডের জন্য) কোনও অজুহাত হতে পারে না।’ হফম্যানের মতো আরও কয়েকজন মা–বাবার বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া, পরীক্ষার ফল বদলে দেওয়া, এমনকি আবেদনপত্রের সঙ্গে সন্তানের খেলাধুলায় পারদর্শিতার মেধা তুলে ধরতে ভুয়ো ছবি দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ইয়েল, জর্জটাউন ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মতো অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের ভর্তি করার জন্য ওই সব মা–বাবা জালিয়াতি করেছেন। তবে এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় হাফম্যানই দণ্ডপ্রাপ্ত প্রথম অভিভাবক।
কলেজে হফম্যানের বড় মেয়ে সোফিয়া মেসিকে ভর্তির জন্য ভুল উত্তর ঠিক করে দেওয়ার কাজটি করেছিলেন উইলিয়াম সিঙ্গার। একটি বিশেষ জায়গায় তিনি সোফিয়ার জন্য স্যাট পরীক্ষার আয়োজন করেছিলেন। আমেরিকায় ভালো কলেজে ভর্তি হতে স্যাটে ভালো নম্বর তুলতে হয়। সোফিয়ার ভুল উত্তরগুলো ঠিক করে দেওয়ায় তার নম্বর আগের পরীক্ষার চেয়ে অনেক ভালো এসেছিল। বিচারককে লেখা চিঠিতে হাফম্যান দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে এই বিষয়ে কিছু জানত না। এখন বিষয়টি জেনে মেয়ে ভেঙে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের সঙ্গে কথা বলে মনে করছি যে একজন ভালো মা হওয়ার বেপরোয়া মনোভাব থেকে এটা করেছি। মেয়ের জন্য একটি ভালো সুযোগ তৈরি করতে চেয়েছি। আমার মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে যখন জিজ্ঞেস করল, “কেন তুমি আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারলে না? কেন তুমি ভাবলে যে আমি নিজে তা করতে পারব না?” তার এসব প্রশ্নের যথাযথ কোনও জবাব নেই আমার কাছে। আমি শুধু বলেছি, আমি দুঃখিত।’
হফম্যানের মতো আরও এক হলিউড অভিনেত্রী লরি লাফলিন ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষের অঙ্কের অভিযোগ হফম্যানের চেয়ে বহুগুণ বেশি। দুই মেয়েকে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার রোয়িং টিমের সদস্য করার জন্য তাঁরা পাঁচ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।