কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৪৮ সালে। লন্ডনের তৎকালীন পাকিস্তান হাই কমিশনারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ পাউন্ড পাঠিয়েছিলেন হায়দরাবাদের নিজাম মীর ওসমান আলি খান। ৭০ বছর আগে, তখন ভারত না পাকিস্তান— হায়দরাবাদ কোন দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে, সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তিনি। কিন্তু ১৯৪৮ সালে লন্ডনের পাকিস্তান হাই কমিশনারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকাটি পাঠানোর কিছুদিন পরেই এক সামরিক অভিযানের শেষে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয় হায়দরাবাদ। এই সংযুক্তিকরণের কিছুদিন পর মীর ওসমান আলি খানের বংশধররা টাকাটি ফেরত চাইলে পাকিস্তান তা দিতে অস্বীকার করে। ভারত সরকারের সঙ্গে একযোগে এই বিষয়ে মামলা করেন নিজামের পরিবার। নিজামের জমা টাকা চেয়ে ন্যাশনাল ওয়েস্টমিনস্টার ব্যাঙ্কের কাছে পাকিস্তানের তরফে আবেদন জানানো হয়। বলা হয়, সেই সময়ে অস্ত্র তৈরির জন্য তাঁদের ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, বিচারের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত কোনও একপক্ষকে জমা টাকা দেওয়া হবে না। এদিকে, জমা মূল টাকার (১০ লক্ষ পাউন্ড) উপর সুদ জমতে জমতে ২০১৯ সালে এসে সেই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ পাউন্ড।
আদালতে শুনানির পর নিজামের এক বংশধরের আইনজীবী পল হিউইট বলেন, ‘ওই টাকাটি যে পাকিস্তানকেই দেওয়া হয়েছিল, আদালত তা মনে করে না। এদিন সেই বিষয়টি স্পষ্টও করে দেওয়া হয়েছে। এই টাকার মূল মালিক নিজাম এবং পাকিস্তানকে এক ট্রাস্টি হিসেবে যে নিয়োগ করা হয়েছিল, তারও প্রমাণ মিলেছে।’ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন মীর ওসমান আলি খানের এক নাতি নাজাফ আলি খান। ভারতের বিদেশমন্ত্রকও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।