কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রত্যাশা মতোই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ৩৭০ ধারা রদ পরবর্তী কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সুপ্রিমো বলেন, দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে লড়াই হলে তার পরিণাম ভালো হবে না। তারপরেই ইমরানকে তুলোধনা করেন বিদিশা। বিদেশ মন্ত্রকের ফ্রার্স্ট সেক্রেটারি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে পাক প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বকে আড়াআড়িভাবে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা-ওরা, ধনী-গরিব, উত্তর-দক্ষিণ, উন্নত-উন্নয়শীল এবং মুসলমান ও অন্যান্য। রাষ্ট্রসঙ্ঘে বৈষম্যের সূচনা করছে এই ভাষণ। তাঁর এই ভাষণ প্ররোচনামূলক। ঘৃণায় ভরা।’
বিদিশা আরও বলেন, ‘কূটনীতিতে ভাষা গুরুত্বপূর্ণ। সহিংসা, রক্তের বন্যা, চূড়ান্ত জাতি বৈষম্য, বন্দুক তুলে নেওয়া, শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মতো শব্দ ব্যবহার ইমরানের মধ্যযুগীয় মানসিকতারই প্রতিফলন।’ এরপরেই ইমরান খান নিয়াজি সম্বোধন করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লেফটেন্যান্ট এ এ কে নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের হত্যালীলার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বিদিশা বলেন, ‘পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি রাষ্ট্রনেতাসুলভ নয়, দেউলিয়া মনোভাবাপন্ন।’
পাক সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ফার্স্ট সেক্রেটারির প্রশ্ন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের তালিকাভুক্ত ১৩০ কট্টর জঙ্গি এবং ২৫ সংগঠন যে তাদের দেশেই ঘাঁটি গেড়ে নেই, পাকিস্তান অস্বীকার করতে পারবে? পাকিস্তান কি অস্বীকার করতে পারে যে তারাই বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র, যারা রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদীদের পেনশন দেয়?’ বিদিশার আরও প্রশ্ন, ‘পাকিস্তান কি অস্বীকার করতে পারবে যে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ২৭টি মাপকাঠির মধ্যে ২০টিতেই তারা ব্যর্থ? নিউ ইয়র্কে দাঁড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী কি অস্বীকার করতে পারবেন যে তিনি ওসামা বিন লাদেনের একজন খোলাখুলি সমর্থক ছিলেন?’