কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সন্ত্রাসের পাশাপাশি ২০ মিনিটের বক্তৃতায় ভারতের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপগুলির খতিয়ানও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বদলে যেতে থাকা ভারতের কথা বলেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে স্বাস্থ্য বিমা, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা থেকে শুরু করে জল সংরক্ষণ, শৌচালয় নির্মাণের প্রসঙ্গও। স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদি জানান, মাত্র ৫ মাসের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম স্বচ্ছতা অভিযানকে বাস্তবায়িত করেছে ভারত। তৈরি করা হয়েছে ১১ কোটি শৌচালয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আসন্ন ৫ বছরের মধ্যে ১৫ কোটি মানুষকে জল সরবরাহ পরিষেবার সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে দরিদ্র মানুষের জন্য আরও ২ কোটি ঘর তৈরি হবে।’ এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মামুক্ত করার ভাবনার কথাও বলেন তিনি।
এদিকে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার মঞ্চে সম্ভাব্য ভারত-পাক দ্বৈরথে ইসলামাবাদ আদৌ কতটা সুবিধে করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করলেন স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকদের সঙ্গে একটি আলোচনাচক্রে যোগ দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নিজের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বিশেষ কিছু ‘অর্জন’ করার বিষয়ে তিনি মোটেই আশাবাদী নন। তবে তিনি এও বলেন, ‘অন্তত সারা বিশ্ব জানবে আমি ঘটতে চলা একটি গণহত্যা নিয়ে সন্ত্রস্ত।’ জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সাক্ষাৎকার পর্বের আগাগোড়াই ইমরানের হাবভাবে নৈরাশ্য ঝরে পড়ছিল। হতাশার সুরেই পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত কাশ্মীরের জন্যই আমি নিউ ইয়র্ক এসেছিলাম। বাকি সব কিছু ছিল গৌণ। কিন্তু, বিশ্ববাসী এখনও বুঝতে পারছে না যে আমরা এক চরম বিপর্যয়ের দিকে চলেছি।’
এর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার একটি অধিবেশন শেষের পর সাংবাদিকদের ইমরান জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের তরফে কাশ্মীর ইস্যুতে আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া না মেলায় তিনি হতাশ। ইমরানের কথায়, ‘আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির প্রতি আমি হতাশ। যদি ৮০ লক্ষ ইউরোপীয় অথবা খ্রিস্টান, ইহুদি বা মার্কিন নাগরিকের উপর প্রতিবন্ধকতা চাপিয়ে দেওয়া হতো, নিদেনপক্ষে ৮ জন মার্কিনও যদি বন্দি হতেন, তাহলে কীরকম প্রতিক্রিয়া মিলত আপনারা ভালোই জানেন।’
এদিকে, ভারতে সংখ্যালঘু অত্যাচারের অভিযোগ তুললেও চীনের উইঘুর এবং তুর্কিভাষী মুসলিমদের উপর নির্যাতন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি ইমরান। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে সরাসরি পাক প্রধানমন্ত্রীকে দুষলেন এক মার্কিন কূটনীতিক। দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার জন্য আমেরিকার কার্যনির্বাহী সহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস বলেন, ‘কাশ্মীরের মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ইমরান সরব হলেও, চীনে ১০ লক্ষ মুসলিমকে বন্দি করে রাখার বিষয়ে তিনি নীরব। এটা দ্বিচারিতার সামিল।’ এর আগে গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে উইঘুরদের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি পাক প্রধানমন্ত্রী। শুধু জানিয়েছিলেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে। তাই সমস্ত ইস্যু তারা নিজেদের মধ্যেই আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলবেন।