কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বুধবার কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানকে টেররিস্তান তকমা দেন তিনি। বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে সমস্যা নেই কিন্তু টেররিস্তানের সঙ্গে আপত্তি আছে।’ পাশাপাশি, ক্রিকেটের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, দিনে ক্রিকেট আর রাতে সন্ত্রাস কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী? উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের প্রশ্নে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ছিল— কাশ্মীর এবং পাকিস্তান। প্রথমেই আমি এর বিরোধিতা করছি। আর সেটা কেন করছি তার ব্যাখ্যা দেব। আমি মনে করি না, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীরই একমাত্র ইস্যু। বরং সেটা ইস্যুর একটা অংশ মাত্র।’ তাঁর আরও সংযোজন, পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে ভারতের সমস্যা নেই। কিন্তু, সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় সমস্যা আছে। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘সবাই প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন। কিন্তু, যে দেশ লাগাতার সন্ত্রাস ছড়িয়ে বেড়ায়, তাদের সঙ্গে আমি কী কথা বলব?’
ভারত ও পাকিস্তানের ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলেও এদিন পাকিস্তানকে একহাত নেন জয়শঙ্কর। দু’দেশের ইতিহাস কখনওই স্বাভাবিক ছিল না। উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান কখনওই ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করেনি। উভয়ই ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লুটিও) সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে। এমনকী, ডব্লুটিও’র নিয়ম মেনে ভারত ‘এমএফএন’ বা ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’-এর তকমা পাকিস্তানকে দিলেও, ইসলামাবাদ কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি। জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা এমন একজন প্রতিবেশী পেয়েছি, যারা আমাদের যাতায়াতের অনুমতি দেয় না। যেমন— আফগানিস্তান, ইরান যেতে আমাদের পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করার দরকার পড়ে। কিন্তু, ওরা আমাদের সেই অনুমতি দেয় না। তাই আমাদের কাছে এই প্রতিবেশী খুবই চ্যালেঞ্জিং।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমরা বাকি সবকিছু মেনে নিলেও একটা বিষয় কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। আর তা হল সন্ত্রাস। যেটা ওদের চোখে রাজনীতির বৈধ সরঞ্জাম। যার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করা হয়।’