রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে সামরিক খাতে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ ৪০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য আটকে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রার্থী হিসেবে দৌড়ে থাকা জো বিডেন এবং তাঁর ছেলে হান্টারের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পদক্ষেপ নেন বলে অভিযোগ ওঠে। গত ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমায়ের জেলেস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময়েও জো বিডেন এবং তাঁর ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার জন্য ট্রাম্প চাপ দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রতিবারই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের অভ্যন্তরে ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে ইমপিচমেন্টের তদন্ত শুরু করার কথা ঘোষণা করেন ডেমোক্র্যাট দলের অন্যতম শীর্ষনেত্রী তথা স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য প্রেসিডেন্টই দায়ী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।’
এদিকে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা উপলক্ষে এই মুহূর্তে নিউ ইয়র্কে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সভার ফাঁকেই ‘এগজিকিউটিভ টাইমে’ যখন ট্রাম্প টাওয়ারের পেন্টহাউসে সময় কাটাচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তখনই পেলোসি এই ঘোষণা করেন। ম্যানহাটানের এই টাওয়ারের ৫৯ তলায় বসেই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হন তিনি। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ট্রাম্প গোটা বিষয়টিকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল হ্যারাসমেন্ট’ ও ‘উইচ হান্ট’-এর সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রসঙ্ঘে গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে বহু কাজ হয়েছে এবং প্রচুর সাফল্য এসেছে। সেইদিনটিকে কালিমালিপ্ত করতেই ডেমোক্র্যাটরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই খবর প্রকাশ করেছে। ইউক্রেনের বরাদ্দ আটকে দেওয়ার কথা মেনে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, জো বিডেনের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের তদন্তের জন্য চাপ দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইউরোপের সহযোগী দেশগুলি যাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করে, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেন তিনি। পাশাপাশি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজের কথার ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করার কথাও জানান তিনি। সূত্রের খবর, ভিতরে ভিতরে অবশ্য এই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া নিয়ে চাপে পড়েছেন ট্রাম্প। গোটা বিষয়টিকে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা ঠিক করতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও করেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের মাত্র ১৪ মাস আগে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ ঘিরে ঝড় উঠেছে রাজনীতিবিদদের মধ্যে। একাংশের মতে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের মতো জটিল বিষয়ের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তদন্ত শুরু করার কথা ঘোষণা করা হলেও তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো খুব সহজ হবে না। ডেমোক্র্যাটদের তরফে আনা ইমপিচমেন্টের জন্য তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রিপাবলিকানদের একটা বড় অংশ। তাঁদের মতে, নিজেদের এই সিদ্ধান্তের জন্য পরে ডেমোক্র্যাটদেরই পস্তাতে হবে। ডেমোক্র্যাটদের এই পদক্ষেপের ফলে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে তাঁর সম্ভাবনা আরও জোরদার হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন খোদ ট্রাম্পও।