বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কাশ্মীর নিয়ে ইমরান খানের তরী কোনওভাবেই কূলে ভিড়ছে না। আন্তর্জাতিক মহলে বারবার চেষ্টা করেও মুখ পুড়ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে এসেও তা ভালোই টের পাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের কথা যে কেউ বিশ্বাস করছে না, তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না ইমরানের। এই অবস্থায় হতাশা গোপন রাখতে পারলেন না তিনি। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইমরান বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকায় আমি হতাশ। মোদির উপর এখনও পর্যন্ত কোনও চাপই নেই। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাক দূত মালিহা লোধিও উপস্থিতি ছিলেন ইমরানের এই সাংবাদিক বৈঠকে। হতাশ ইমরানের বক্তব্য, আমরা চাপ তৈরির চেষ্টা বজায় রাখব। ব্যর্থতা মেনে নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর সাফাই, ভারতের আর্থিক অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক প্রভাবের কারণে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্যকে কেউ গুরুত্ব দিতে চাইছে না। ১২০ কোটি মানুষের বাজার হিসেবে দেখা হচ্ছে ভারতকে। অথচ গত ৫০ দিন ধরে কাশ্মীরে অচলাবস্থা চলছে। ৮০ লক্ষ মানুষকে নজিরবিহীনভাবে প্রকাশ্যে জেলে ভরে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলকে চাপে রাখতে ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দেন ইমরান। বলেন, পরিস্থিতি এমন হতেই পারে যে, একটা সময় দুই পরমাণু অস্ত্রধর দেশ একে অপরের মুখোমুখি হয়ে গেল। এর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে আক্ষেপ শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার ইজাজ আমেদ শাহের গলাতেও। তাঁর বক্তব্য ছিল, কাশ্মীর নিয়ে নিজেদের অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। আমাদের কেউ বিশ্বাস করছে না। বিশ্বাস করছে ভারতকে। এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে এসে স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করলেন, নিশ্চিতভাবেই তা ভারতের বড় কূটনৈতিক জয়।
ইমরান খান যখন ঢোঁক গিলছেন, সন্ত্রাস ইস্যুতে তখন রীতিমতো ‘স্টেপ আউট’ করে খেললেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। নিউ ইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা খারিজ নিয়ে পাকিস্তানের হা পিত্যেশকে সোজা ব্যাটে মাঠের বাইরে ফেললেন তিনি। জয়শঙ্করের বক্তব্য, আমাদের সীমান্তের মধ্যেই আমরা পুনর্বিন্যাস চালিয়েছি। এতে পাকিস্তানের দিক থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে, প্রতিক্রিয়া এসেছে চীনের দিক থেকেও। এই দু’টি প্রতিক্রিয়া খুবই আলাদা। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, এটা এমন একটা দেশ যারা কাশ্মীরের জন্য বাস্তবেই সন্ত্রাসবাদের একটা আস্ত শিল্প বানিয়ে ফেলেছে। তবে শুধু কাশ্মীর নয়, গোটা ভারতের জন্য এটা বানিয়েছে তারা।